টপ পোষ্ট

আতঙ্ক কাটিয়ে বাড়ি ফিরছে অন্ধকার গুহার ১৩ ফুটবলার

0

অভিশপ্ত একটা অধ্যায়। গুহার অন্ধকার, জনমানবহীন নির্জনতা। এমন এক পরিবেশে রাতের পর রাত কাটানো। শেষমেশ পৃথিবীর আলো দেখা। এ যেন রূপকথার ‘পূর্নজন্ম’!

থাইল্যান্ডের গুহায় আটকে পড়া কিশোরদের উদ্ধারের ঘটনা গোটা বিশ্বে আলোড়ন তোলে। এবার লড়াই আতঙ্কের অন্ধকার কাটিয়ে ওই কিশোরদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার। সৌ: পিটিআই নামে থাইল্যান্ডের একটি হাসপাতালে ১২ জন কিশোরের চিকিৎসা চলছিল। আজ হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাচ্ছে তারা।

এদিকে, নির্দিষ্ট দিনের একদিন আগেই হাসপাতাল থেকে মুক্তি পেয়ে আজ ঘরে ফেরা হবে তাদের। আর ছাড়া পেয়েই কথা বলবে মিডিয়ার সঙ্গে। এতে গুহার ভিতরের ঘটনা ঘিরে মানুষের কৌতূহল যেমন নিরসন হবে, তেমনই ফের একবার জীবনের স্বাভাবিক ছন্দে ফেরার ক্ষেত্রেও খানিকটা সুবিধা হবে ওই কিশোরদের।

‘ওয়াইল্ড বোয়ার্স’ নামের ফুটবল দলের ওই ১২ কিশোর ও তাদের কোচ কিছুদিন আগেই আটকে পড়েন থাইল্যান্ডের বিপদ সঙ্কুল থাম লুয়াং গুহার মধ্যে। এক রুদ্ধশ্বাস অভিযানে কিশোর ও তাদের কোচকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার অভিযান চালায় থাইল্যান্ডের সেনা। সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে, কিশোর ফুটবলারদের মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলানোর একটাই উদ্দেশ্য, যাতে মিডিয়া তাদের পরবর্তীকালে কোনও রকম প্রশ্ন করে বিব্রত না করে।

তাই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেতেই আগে মিডিয়ার যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর তারা দেবে, তারপর তারা বাড়ির ফিরবে। তবে প্রেস কনফারেন্সের পরই তাদের তৎক্ষনাৎ বাড়ি পাঠানো হবে। এরপর কোনওভাবেই সাংবাদিকদের সঙ্গে যাতে তাদের যোগাযোগ না থাকে, সে বিষয়টিতে নজর রাখার পরামর্শ দিয়েছেন মনোবিদরা।

কারণ, টানা ৯ দিন গুহার মধ্যে এক ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে থেকে এমনিতেই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ওই থাই-কিশোরারা। গোটা বিষয়টির টিভি সম্প্রচার নিয়েও বেশ কিছু নিয়ম বেঁধে দিয়েছে থাই সরকার। সেখানে ৪৫ মিনিটের বেশি দেখানো যাবে না সম্প্রচার। কোনওভাবেই যাতে ওই কিশোরদের ওপর মানসিক বিপর্যয় না ঘনায় সেদিকে নজর রাখার জন্য বলা হয়েছে মিডিয়া

শেয়ার করুণ

আপনার মন্তব্য দিন