টপ পোষ্ট

রোহিঙ্গাদের দ্রুত ফেরাতে থাইল্যান্ডের সহযোগিতার আশ্বাস

0

জোরপূর্বক
নিজ বাসভূম থেকে বাস্তুচ্যুত
হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণকারী মিয়ানমারের
রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে দ্রুত
প্রত্যাবাসনে ঢাকাকে সহযোগিতা অব্যাহত
রাখার বিষয়ে আশ্বস্ত করেছে
ব্যাংকক।

বাংলাদেশে
থাইল্যান্ডের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত অরুনরাঙ্গ ফটোং হামফ্রে আজ
সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তেজগাঁওস্থ
কার্যালয়ে এক সৌজন্য সাক্ষাতে
এসে এই আশ্বাস প্রদান
করেন।

বৈঠকের
পর সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল
করিম থাই রাষ্ট্রদূতকে উদ্ধৃত
করে বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের তাদের
নিজ দেশে দ্রুত প্রত্যাবাসনে
বাংলাদেশকে সমর্থন অব্যাহত রাখবে
থাইল্যান্ড।’

এর উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন,
‘রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের জন্য একটি বড়
বোঝা। তারা
মিয়ানমারের নাগরিক এবং তাদেরকে
সেখানেই ফিরে যেতে হবে।’

বিগত ৪০ বছরের বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড বন্ধুত্ব এবং আন্তরিকতাপূর্ণ সম্পর্কের
উল্লেখ করে থাই রাষ্ট্রদূত
বলেন, ‘তিনি এই ঢাকা-ব্যাংকক সম্পর্ককে একটি নতুন উচ্চতায়
আসীন করতে অঙ্গীকারাবদ্ধ।’

থাই রাষ্ট্রদূত বলেন, তারা বাংলাদেশের
সঙ্গে ব্যবসা, শিল্প এবং জ্বালানি
খাতে কাজ করতে আগ্রহী।

তিনি এ সময় থাইল্যান্ডের
ব্যাংকক বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু চেয়ার প্রতিষ্ঠার কথাও
প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন।

রাষ্ট্রদূত
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক এবং সামাজিক উন্নয়ন
বিশেষ করে উচ্চ জিডিপি
প্রবৃদ্ধি অর্জনের ভূয়সী প্রশংসা করে
বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব
এবং দিক-নির্দেশনার কারণেই
এটা সম্ভবপর হয়েছে।’

তিনি চতুর্থবারের মত প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত
হওয়ায় শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন
জানান।

বাংলাদেশের
কৌশলগত ভৌগলিক অবস্থানের জন্য
দক্ষিণ এশিয়ায় তাঁর অবস্থানের
উল্লেখ করে তিনি বলেন,
‘পূর্ব থেকে আগতদের জন্য
এটা (বাংলাদেশ) দক্ষিণ এশিয়ার প্রবেশদ্বার
এবং আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক ফোরামে
এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ।’

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে গুরুত্ব
দিয়ে থাকি, বিশেষ করে
ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য।

তিনি এ সময় বাংলাদেশে
তাঁর কর্তব্য পালনকালে থাই রাষ্ট্রদূতকে সবরকম
সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দেন।

দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান
দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে গভীর সন্তোষ প্রকাশ
করে প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন, বিশেষ করে
কৃষিক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে।

তিনি বলেন, ‘থাইল্যান্ড খাদ্য
প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প স্থাপনে বাংলাদেশকে
সহযোগিতা করতে পারে, কেননা
এর সফলতা রয়েছে।’

বাংলাদেশের
উন্নয়নের প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্যই
হচ্ছে পরিকল্পিতভাবে দারিদ্র্য বিমোচন এবং জনগণের
মৌলিক চাহিদার সংস্থান করা, যে স্বপ্ন
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ
মুজিবুর রহমান দেখেছিলেন।’

তিনি বলেন, তাঁর সরকার
দারিদ্র্যের হার ২১ দশমিক
৪ শতাংশে নামিয়ে আনতে
সক্ষম হয়েছে এবং জনগণের
মাথাপিছু আয় ১৯শ’ ৯
ডলারে তুলে এনেছে।

প্রধানমন্ত্রী
এ সময় থাইল্যান্ডের সঙ্গে
সকল ক্ষেত্রে বিশেষ করে পানি
পথে যোগাযোগ সম্প্রসারণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

নিরাপত্তার
প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার
সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি
বাস্তবায়ন করছে।

প্রধানমন্ত্রীর
মুখ্য সচিব মো. নজিবুর
রহমান এ সময় উপস্থিত
ছিলেন।

শেয়ার করুণ

আপনার মন্তব্য দিন