টপ পোষ্ট

পিঠের মেদ ঝরিয়ে স্লিম হওয়ার সহজ উপায়

0

ডায়েট ও ব্যায়ামের
মাধ্যমে শরীরের সার্বিক মেদ নিয়ন্ত্রণ করা যায় ঠিকই, কিন্তু পিঠের মেদের জন্য দরকার
আলাদা কিছু। পিঠের মেদ ঝড়ালে শারীরিক সৌন্দর্য যেমন বাড়ে তেমনি ফিটফাট পোশাক-আশাকে
আপনি হতে পারেন আকর্ষণীয়।

ফিটনেস বিশেষজ্ঞরা
বলছেন, নিয়মিত ডায়েট, শরীরচর্চা বা খেলাধূলার পাশাপাশি রুটিনে ঢুকিয়ে নিতে হবে বিশেষ
কিছু ব্যায়াম। পিঠের পেশী যত টানটান হবে, ততই পিঠের মেদ ঝরবে, শরীর টোনড হবে ও পিঠ
সুগঠিক হবে।  

অনেক মহিলারাই
ভেবে নেন, ওয়েট ট্রেনিংয়ে পেশী বেশি কঠিন হয়ে চেহারা পুরুষালী হয়ে যাবে, এই ধারণা ঠিক
নয়। বরং ওয়েট ট্রেনিংয়ে পিঠের মেদ অনেকটাই ঝরে আপনাকে আরও আকর্ষণীয় করবে।

চক্রাসন, নিলিং
রেয়ার ফ্লাই, লেগ ডেড লিফটের মতো নানা ব্যায়ামই পিঠের মেদ কমাতে উল্লেখযোগ্যভাবে কাজে
করে। কিন্তু ভাসা ভাসা জেনে বা ব্যায়ামের বিস্তারিত কায়দা না জেনে তা অভ্যাস করতে গেলে
হিতে বিপরীত হতে পারে।

তাই পিঠের মেদ
ঝরাতে কী কী পদক্ষেপ নিবেন তা জেনে নিন-

স্ট্রেট লেগ ডেড লিফট

এক লিটারের দুটি
পানিভরা বোতল দু’
হাতে নিন। সোজা দাঁড়িয়ে হাত দুটো শরীরের পাশে রাখুন বোতল-সমেত। এবার সামনের দিকে ঝুঁকতে
শুরু করুন। ওজনও নামবে পায়ের দিকে কিন্তু মাটি ছোঁবে না। হাঁটু ভাঙলেও কোমর থেকে মাথার
অংশ যেন মাটির সমান্তরালে থাকে। আবার ধীরে ধীরে আগের অবস্থায় ফিরুন। বিশ বারে একটা
সেট হয়। এই ব্যায়াম তিন সেট করুন প্রতিদিন।

নিলিং রেয়ার ফ্লাই

ম্যাটের উপর পা
ভাঁজ করে হাঁটু মুড়ে বসুন। কোমর থেকে উপরের অংশ সামনের দিকে ঝুঁকিয়ে দিন। দু’ হাতে রাখুন এক লিটারের
পানির বোতল। মাটির দিকে ঝুঁকে বোতলসহ হাত রাখুন মাটির উপর। এমন একটা আকার দাঁড়াবে,
যেন মেঝের সঙ্গে একটা সমকোণ তৈরি হয়েছে। এবার এক হাত বোতল-সমেত পাশে টান করুন। আর এক
হাত তখনও বোতল ধরে মাটিতেই থাকবে। মনে মনে ১০ গুণে একই কাজ হাত পাল্টে করুন। এক একটি
হাতে তিন বার করে করুন।

চক্রাসন

টানটান হয়ে শুয়ে
পড়ে হাঁটু মুড়ে আনুন। এবার দুই হাত কনুই থেকে ভাঁজ করে কাঁধের পাশে রাখুন। হাতের
তালু ও পায়ের পাতার উপর ভর দিয়ে শরীরকে উপরের দিকে তোলার চেষ্টা করুন। এই আসন অনেকটাই
আর্চের কাছাকাছি। আর্চের কায়দাই শুয়ে করলেও তা চক্রাসন।

এতে পিঠের মেদ
কমবে হু হু করে। আর্চের শেপে ২০ থেকে ৩০ সেকেন্ড ধরে রাখুন। শরীর চর্চায় আপনি যদি নতুন
হন তবে সময় না বিচার করে যতক্ষণ কষ্ট না হয় ততক্ষণই করুন। ধীরে ধীরে সময় বাড়ান।

শেয়ার করুণ

আপনার মন্তব্য দিন