টপ পোষ্ট

রাতে স্ত্রীর সঙ্গে স্বামী, হাইকোর্টের নির্দেশ

0

বিয়ে মানেই স্ত্রীর সঙ্গে স্বামীর শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন। তাতে রাজি থাকবে স্ত্রী। কিন্তু ভারতের হাইকোর্টের নির্দেশনায় কিছুটা ভিন্ন মত। শারীরিক শক্তি প্রয়োগ করে ধর্ষণ হয়, তাও নয়। হাইকোর্টের ডিভিশনাল বেঞ্চের মুখ্য বিচারপতি গীতা মিত্তল এবং সি হরি শঙ্কর জানান যে, বিয়ের মত একটি পবিত্র সম্পর্কে পুরুষ এবং নারী দু’‌জনেরই শারীরিক সম্পর্কে সম্মতি রয়েছে কিনা তা জানানোর অধিকার রয়েছে।

দু’‌জনের একজন যদি গররাজি থাকে তবে তিনি না বলতেই পারেন। বৈবাহিক ধর্ষণ একটি অপরাধ, এ মর্মে হাইকোর্টে একটি আবেদন জানায় কলকাতার একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। যদিও এ আবেদনের বিরোধিতা করেন অনেকে।

দিল্লি হাইকোর্টের ডিভিশনাল বেঞ্চ বলেন, বিয়ে মানেই এই নয় যে, স্ত্রী সবসময় শারীরিক সম্পর্কের জন্য ইচ্ছা প্রকাশ করবে এবং সম্মতি জানাবে। পুরুষকে প্রমাণ করতে হবে যে, তার স্ত্রীর সম্মতি রয়েছে কিনা।

বৈবাহিক ধর্ষণ অপরাধ, এ আবেদনের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে পাল্টা আবেদন জানায় পুরুষ কল্যাণ সমিতি। যদিও হাইকোর্ট তাদের আবেদন খারিজ করে দিয়ে জানিয়েছেন, স্বামী–স্ত্রীর মধ্যে যৌনতা নিয়ে জবরদস্তি তা বরদাস্ত করা হবে না, শারীরিক সম্পর্ক গঠনের জন্য কোনও ধরনের জোর–জুলুম বা হুমকি ধর্ষণের আওতাতেই পড়বে।

হাইকোর্ট জানান, ধর্ষণের জন্য বলপ্রয়োগ করা হয়, এটা ভুল তথ্য। সবসময় ধর্ষণে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যাবে, তাও নয়। বর্তমান যুগে ধর্ষণের সজ্ঞা একেবারে বদলে গেছে।

হাইকোর্টে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রতিনিধি অমিত লাখানি এবম ঋত্ত্বিক বিসারিয়া জানান যে, বৈবাহিক হিংসা থেকে বাঁচতে এরই মধ্যে মেয়েদের পক্ষে বহু আইন রয়েছে। এমনকী নারীরা আলাদাও থাকতে পারে, যদি সে চায়।

হাইকোর্ট এরই পরিপ্রেক্ষিতে বলেন, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৫ ধারা অনুযায়ী স্বামীর সঙ্গে স্ত্রীর জোর করে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন ধর্ষণের অন্তর্ভুক্ত নয়। সেদিক দিয়ে পুরুষরাই জিতে গেছে।

শেয়ার করুণ

আপনার মন্তব্য দিন