টপ পোষ্ট

নির্মাণাধীন ভবনে লার্ভা পেলেই কাজ বন্ধ: মেয়র তাপস

0

নির্মাণাধীন ভবনে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে প্রয়োজনে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

আজ বুধবার রাজধানীর গুলিস্তান শহীদ মতিউর পার্কস্থিত (মহানগর নাট্যমঞ্চ) ড. কাজী বশির মিলনায়তনের সংস্কার কাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

মেয়র বলেন, ঢাকা শহরে যে সকল ভবন নির্মাণ করা হয়; সেসব স্থাপনায় দীর্ঘদিন ধরে পানির আধার রয়ে যায়। গবেষণালব্দ বিভিন্ন ফলাফল ও জরিপে দেখেছি, নির্মাণাধীন ভবনগুলো এডিস মশার প্রজননস্থল হিসেবে বড় ধরনের একটি আখড়ায় পরিণত হয়ে থাকে। সুতরাং ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ভবন নির্মাণ সংশ্লিষ্ট ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান বিশেষ করে রিহ্যাবের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। যারা একাজে ব্যর্থ হবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর থেকে কঠোরতর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তিনি বলেন, এডিস মশার লার্ভা পেলে এবার শুধু জরিমানা নয়, প্রয়োজনে নির্মাণ কাজই বন্ধ করে দেওয়া হবে।

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে এবার মে মাস থেকেই অভিযান পরিচালনা করা হবে উল্লেখ করে মেয়র ব্যারিস্টার তাপস বলেন, আসন্ন এডিস মশার মৌসুমকে সামনে রেখে আমাদের যে কর্মপরিকল্পনা ও সূচি রয়েছে, সে অনুযায়ী মে মাসে আমরা পুলিশ প্রশাসন, রাজউক, রেলওয়ে, গণপূর্ত অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন পর্যায়ের অংশীজনদের সাথে মতবিনিময় সভা করব। সেটার মূল উদ্দেশ্য হলো, তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন যে সকল স্থাপনা ও আবাসন রয়েছে সেগুলো যেন তারা নিয়মিতভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখে। কোথাও যেন পানি জামতে না দেয়া হয়। এই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা সর্বাত্মকভাবে একে অপরকে সহযোগিতা করব।

মেয়র বলেন, জুন মাসে যেহেতু বর্ষা মৌসুম শুরু হবে, তাই বর্ষা মৌসুমের আগেই আমরা যেন সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে পারি সে লক্ষ্যে আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। প্রয়োজনে মে মাস থেকে অগ্রিম কিছু অভিযান আমরা পরিচালনা করব।

এছাড়াও মেয়র আজ গুলিস্তান মোড়স্থ বঙ্গবন্ধু ফোয়ারার সংস্কার পরবর্তী কাজ পরিদর্শন, ২০নং ওয়ার্ড ও ১৩নং ওয়ার্ডস্থিত বিদ্যমান পাইপ লাইন ও খোলা নর্দমা পরিষ্কার কার্যক্রম উদ্বোধন এবং শ্যামপুর খালে চলমান বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।

এসময় করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমান, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাদের মধ্যে অঞ্চল-১ এর মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, অঞ্চল-২ এর সুয়ে মেন জো, অঞ্চল-৫ এর মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন সরকার, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা কায়জার মোহাম্মদ ফারাবী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাসিম আহমেদ, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. খায়রুল বাকের ও রাজীব খাদেম, নির্বাহী প্রকৌশলীদের মধ্যে সাইফুল ইসলাম জয়, সাইফুল ইসলাম ও মো. মফিজুর রহমান, কাউন্সিলরদের মধ্যে ২০নং ওয়ার্ডের ফরিদ উদ্দিন আহমেদ রতন, ৫৩নং ওয়ার্ডের মো. মীর হোসেন মীরু এবং সংরক্ষিত আসনের এমপি নাসিমা আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুণ

Comments are closed.