টপ পোষ্ট

প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলার জন্য পরিকল্পনা প্রস্তুত

0

প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের প্রকোপ কমার পর প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষা কার্যক্রম কিভাবে চলবে তার একটা পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন জানিয়েছেন, বিদ্যালয় খুলে দেওয়ার অন্তত ১৫ দিন আগ থেকে এই পরিকল্পনার বাস্তবায়ন শুরু করা হবে। বুধবার রাতে তিনি জানান, ‘স্কুল রি-ওপেনিং প্ল্যান’ তৈরি করা হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী জানান, বিদ্যালয় খুলে দিলে প্রতিদিন শিক্ষার্থীদের শরীরের তাপমাত্রা মেপে স্কুলে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে। যাদের শরীরের তাপমাত্রা বেশি থাকবে তাদের বিদ্যালয়ে ঢুকতে দেওয়া হবে না। তিনি বলেন, ‘স্কুলে প্রবেশের আগে অবশ্যই হাত ধুতে হবে, মাস্ক পরতে হবে। সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্কুলে যেতে হবে। এই পরিকল্পনা অনুযায়ী বিদ্যালয় খুলে দেওয়ার পর সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে একেকটি বেঞ্চে দুইজন করে শিক্ষার্থীকে বসানো হবে।’

“একসঙ্গে অর্ধেক শিক্ষার্থী যেন বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকে সেই ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। কারণ একটা বেঞ্চে যখন মাত্র দুইজনকে বসাব তখন সবাইকে একসঙ্গে স্কুলে আনা যাবে না। আমাদের সব স্কুলে তেমন অবকাঠামোও নেই।”

বিদ্যালয় খোলার তারিখ চূড়ান্ত হলে স্কুল রি-ওপেনিং প্ল্যানগুলো সবাইকে জানিয়ে দেওয়া হবে বলে জানান জাকির হোসেন। তবে কবে নাগাদ বিদ্যালয় খোলার সিদ্ধান্ত হতে পারে সে বিষয়ে কোনো ধারণা তিনি দিতে পারেননি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ইউনিসেফ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, বিশ্বব্যাংক, ইউনেস্কো, যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় রোগ নিয়ন্ত্রণ এবং প্রতিষেধক সেন্টার (সিডিসি) যেসব গাইডলাইন তৈরি করেছে, সেগুলোর সবকিছু সমন্বয় করে একটি গাইডলাইন তৈরি করা হচ্ছে করোনা পরবর্তীতে প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনায়।

গত ১৭ মার্চ থেকে আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে প্রাথমিক বিদ্যালয়। এই সময় শিক্ষক কর্মকর্তাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে নির্দেশ দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর। রবিবার (১৬ আগস্ট) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর এই নির্দেশনা জারি করে। এর আগে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ১৬টি নির্দেশনা জারি করেছিল।

এছাড়া করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ থেকে ইতোমধ্যে সরকারি আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের করণীয় সম্পর্কে ১৩টি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগের ওই গাইডলাইন অনুযায়ী প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সকল শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চলার নির্দেশনা দেয়।

স্কুল রি-ওপেনিং পরিকল্পনায় বেশ কিছু স্বাস্থ্য বিধির কথা বলা হয়েছে। যাতে, এক বেঞ্চে তিন, চার বা পাঁচজন শিক্ষার্থী বসতে না পারা, দূরত্ব বজায় রেখে পাঠদান করতে বলা হয়েছে।

শেয়ার করুণ

Comments are closed.