টপ পোষ্ট

সুনামগঞ্জে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

0

টানা তিনদিনের বর্ষণে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জ শহরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বিশেষ করে গ্রামীণ সড়কগুলো তলিয়ে গেছে। এতে করে অনেক স্থানে বন্ধ হয়েছে যানবাহন চলাচল।

শহরের আরপিননগর, জামতলা, পশ্চিমবাজার, হাজীপাড়া, নতুনপাড়া, নবীনগর, ষোলঘর, কাজীরপয়েন্ট, উকিলপাড়া, শান্তিবাগ, কিচেন মাকের্ট, জগন্নাথবাড়ি, আচিনপুর, সুরমা ইউনিয়নে সৈয়দপুর, ভাদেরটেক, মুসলিমপুর, উরার কান্দা, অক্ষয়নগর, বেরীগাঁও, নলুয়াসহ কিছু এলাকায় পাহাড়ী ঢলের পানিতে প্লাবিত হয়েছে, কিছু কিছু এলাকায় বাড়িতে ডুকে পড়েছে নদীর পানি।

এছাড়া জেলার সদর উপজেলা তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর, জামালগঞ্জ, দোয়ারাবাজার ও ছাতক উপজেলার নিম্নাঞ্চল পাহাড়ি ঢলের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার গ্রামীণ সড়কগুলো ঢলের পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে।

ঢলের পানিতে সুনামগঞ্জ তাহিরপুর সড়কের আনোয়ারপুর সংযোগ সড়ক ও বিশ্বম্ভরপুর সুনামগঞ্জ বিশ্বম্ভরপুর সড়কের শক্তিয়ারখলা অংশ নিমজ্জিত হওয়ায় সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। এছাড়া ছাতক দোয়ারাবাজার ও সুনামগঞ্জ ছাতক সড়কে পানি ওঠায় বন্ধ রয়েছে যানবাহন চলাচল।

সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, শহরের ষোলঘর পয়েন্টে সুরমা নদী ৫৭ সেন্টিমিটার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার শক্তিয়ারখলা পয়েন্টে যাদুকাটা নদীর পানি বিপদ সীমার ৫৬ সেন্টিমিটার উপর উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত ৭২ ঘণ্টায় ভারতে চেরাপুঞ্জিতে ৯০২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এছাড়া সুনামগঞ্জে গত ২৪ ঘন্টায় ১৯০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সবিবুর রহমান বলেন, ‘বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে না। এ কারণে হাওর বেষ্টিত তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর, জামালগঞ্জ ধর্মপাশার উপজেলার পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।’

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ জানান, ‘পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য উপজেলা পর্যায়ে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন সার্বক্ষণিক পানি বৃদ্ধির বিষয়ে মনিটরিং করছে। আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া প্রয়োজনীয় ত্রাণ সামগ্রীও মজুদ রয়েছে।’

শেয়ার করুণ

Comments are closed.