টপ পোষ্ট

বাড়িতে কেউ করোনায় আক্রান্ত হলে তার যত্ন নিবেন কীভাবে?

0

পৃথিবীর প্রায় প্রতিটা দেশেই করোনাভাইরাস ছড়িয়েছে। ভাইরাসটির সংক্রমণ এড়াতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে বলা হয়েছে, আপনাকে বাড়িতে থাকতে হবে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে, মাস্ক পরতে হবে, বার বার সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে, সেনিটাইজিং করতে হবে। তবে এভাবে কতদিন, জরুরি প্রয়োজনে আপনাকে বাড়ি থেকে বের হতেই হবে। এক্ষেত্রে কেউ যদি সংক্ৰমিত হন, তার যত্ন কিভাবে নিবেন সে সম্পর্কে জানা থাকাটা জরুরি।

যাদের মধ্যে করোনা রোগের লক্ষণ দেখা যাবে, তাদের নিজ বাড়িতেই আইসোলেশন পালন করে চলতে হবে। আইসোলেশানের ক্ষেত্রে পরিবারের অন্য সদস্যদের থেকে দূরে থাকতে হবে। তাদের জন্য বাড়িতে আলাদাভাবে সব রকম ব্যবস্থা রাখতে হবে। পরীক্ষা করাতে হবে, যদি করোনা পজেটিভ হয়, তাহলে কীভাবে তাঁর যত্ন নেবেন।

কীভাবে বাড়িতেই দেখাশোনা করবেন করোনা ভাইরাসের রোগীদের জেনে নিন…

১. সংক্ৰমিত রোগীকে একটা ঘরে রাখতে হবে, সেই ঘরের সঙ্গে লাগোয়া বাথরুম থাকা খুবই জরুরি। যদি আলাদা বাথরুম দেওয়া সম্ভব না হয়, তাহলে রোগী তা ব্যবহার করার সঙ্গে সঙ্গে সেই সব স্থান জীবাণু মুক্ত করাটা খুবই জরুরি। যেসব জায়গায় হাত লাগার সম্ভাবনা বেশি থাকে। যেমন- পানির কল, দরজা, দরজার হ্যান্ডেল প্রভৃতি।

২. সংক্ৰমিত ব্যক্তি যাতে রান্নাঘরে বা অন্য কোন জায়গায় না ঢোকে সেদিকে বিশেষ খেয়াল রাখুন। তার প্রয়োজনগুলো জেনে নিন। সে মতো ব্যবস্থা নিন।

৩. রোগীর সঙ্গে কথা বলা বা তার দেখাশোনা করার সময় মাস্ক ও গ্লাভস পরার সঙ্গে সঙ্গে সব রকম সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।

৪. এমন রোগীদের থেকে বাচ্চাদের, বয়স্কদের ও দুর্বল রোগীদের থেকে দূরে থাকতে হবে।

৫. স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে হবে। সংক্ৰমিত ব্যক্তির মধ্যে সর্দি-কাশির লক্ষণ থাকে তাহলে তাকে হাত ধোয়ার জন্য সাবান বা এলকোহলযুক্ত স্যানিটাইজার আলাদা করে দিন।

৬. করোনা ভাইরাসের রোগীদের দেখাশোনা করার সময় বাড়িতে থাকুন, স্কুল, অফিস বা সার্বজনিক কোনও স্থানে যাবেন না।

৭. রোগী ও বাসার সবাইকে প্রচুর পরিমাণে পানি, পুষ্টিকর খাবার বিশেষ করে ভিটামিন সি জাতীয় খাবার বেশি খেতে হবে।

৮. রোগী ও তার আশপাশের সবাইকে নাক মুখ ঢেকে চলতে হবে। কাশি বা হাঁচির সময় ডিস্পোজাল টিসু ব্যবহার করুন। ব্যবহারের পর তা নষ্ট করে ফেলুন।

৯. রোগী অথবা অন্য কারোর যদি শ্বাসকষ্ট হয়, সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।

১০. চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ওষুধ দিতে কোনভাবেই ভুলবেন না।

১১. গোলমরিচ ও লবঙ্গ দিয়ে চা বানিয়ে বার বার দিন রোগীকে।

১২. রোগীর ব্যবহৃত কাপড় আলাদা করে পরিস্কারের ব্যবস্থা নিন।

শেয়ার করুণ

Comments are closed.