টপ পোষ্ট

রাজধানীর অসহায় ১০০ পরিবারকে ‘আলোময়’র খাদ্য বিতরণ

0

দেশব্যাপী করোনাভাইরাসের সংক্রমন ঝুঁকিতে মানুষ যখন অসহায় অবস্থায় নিজেকে গৃহবন্দী করে রেখেছে তখন বাংলাদেশের মানুষেরও একই পরিস্থিতি। এমন পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি কষ্টে আছে দেশের খেটে খাওয়া শ্রমজীবী, দিনমজুর, গরীব অসহায় মানুষ। যাদের আজ খাদ্যভাবে প্রান ওষ্ঠাগত ।

সাধারণ ছুটির এই সময়ে শ্রমজীবী জনসাধারণ কর্মহীন অবস্থায় দিনাতিপাত করছে। জীবিকার সন্ধানে ঝুঁকি নিয়ে কেউ কেউ বের হলেও জনশূণ্য নগরীতে তারা আয় উপার্জনের কোন উৎস খু্ঁজে পাচ্ছে না।

অথচ এই শ্রমজীবীদের আয়ের টাকাতেই তাদের পরিবার পরিজনের জুটবে আহার। এই সময়ে নগরীর সড়ক পথ, অলিগলিতে রিকশা দেখা যাচ্ছে, তবে তাতে দেখা যাচ্ছে না তেমন যাত্রী।

ভিক্ষুক দেখা যাচ্ছে, কিন্ত তাদেরকে টাকা দেয়ার মত লোকের দেখা পাওয়া যাচ্ছে না।

দেশের সব লোক এখন গৃহবন্দী। কিন্ত যারা দিনে এনে দিনে খায়, যাদের কাছে কাড়ি কাড়ি টাকা নেই। তারা তো আর বাজার সওদা মজুদ করতে পারেনি।

তাদের তো ফ্রিজ নেই, মাছ-মাংস, তরিতরকারি ফ্রিজ ভর্তি করে রাখবে। দৈনিক আয় রোজগারই তাদের একমাত্র ভরসা।

হয়ত খবর নিলে দেখা যাবে নিম্নজীবী এই মানুষগুলোর দিন কাটছে অনাহারে অর্ধাহারে। এই দুঃসময়ে সমাজের প্রত্যেক বিত্তবান মানুষ, বিভিন্ন ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানকে মানুষের সহায়তায় হাত বাড়িয়ে দিতে হবে।

তাই্ যেখানেই অসহায় সেখানেই আলোময় এই শ্লোগানকে সামনে রেখে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে আলোময় ফাউন্ডেশন।

বন্ধুবান্ধব আত্মীয়স্বজন ও ফেসবুক পেজের মাধ্যমে জোগাড় করা ফান্ড দিয়ে প্রাথমিক পর্যায়ে ১০০টি অসহায় পরিবারের মাঝে খাদ্য বিতরণ করেছেন।

কেবল মানবসেবায় নিজেদেরকে নিয়োজিত করার মাধ্যমে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে এই ফাউন্ডেশন এর কিছু তরুণ-তরুণী।

গত ৩১ মার্চ রাজধানীর হাতিরঝিল, তেজগাঁও, রামপুরা, বাড্ডা এলাকায় কর্মহীন অসহায় এবং নিম্নআয়ের ১০০টি পরিবারের কাছে দৈনন্দিন খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন ফাউন্ডেশন এর উদ্যোক্তারা।

তারা আরো জানান, শুধুমাত্র ১০০ টি পরিবারকে সাহায্য করে তারা থেমে থাকবেন না।

ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান রাজিয়া সুলতানা ইমু জানান, পরবর্তীতে প্রায় ২০০টি পরিবারের কাছে খাবার সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

খুব দ্রুতই এই সকল খাদ্য সামগ্রী অসহায়-দুস্থ এবং দিনমজুরদের মাঝে বিতরণ করা হবে।

শেয়ার করুণ

Comments are closed.