করোনা ভাইরাস আতঙ্ক ছড়িয়েছে ক্রীড়াঙ্গনেও। ইতিমধ্যে অনেকগুলো ফুটবল ম্যাচ স্থগিত হয়ে গেছে করোনার ভয়ে। এবার সতকর্তামূলক ব্যবস্থায় করমর্দন না করার ঘোষণা দিয়েছে ইংলিশ ক্রিকেটাররা।
চলতি মাসেই শ্রীলঙ্কা সফরে আসবে ইংল্যান্ড দল। খেলবে দুটি টেস্ট। এই সিরিজকে সামনে রেখে প্রতিপক্ষ ক্রিকেটারদের সঙ্গে করমর্দন না করার ঘোষণা দিয়েছেন অধিনায়ক জো রুট।
খুব ‘সিরিয়াস’ হয়েই কথাটা বলেছেন রুট। কারণ ইতিমধ্যে এশিয়া মহাদেশের অনেক দেশেই প্রাণঘাতী ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়েছে। সে কারণেই সাবধানতা অবলম্বন করবে ইংলিশরা।
সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ইংল্যান্ডের কয়েকজন ক্রিকেটার ফ্লুজনিত অসুস্থতায় ভুগেছেন। এই অবস্থায় সাবধানতার বিকল্প দেখছেন না জো রুট।
শুধু ক্রীড়াঙ্গনেই নয় বিশ্ব রাজনৈতিক অঙ্গনেও করমর্দন এড়িয়ে চলা হচ্ছে। ইতিপূর্বে জার্মানির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হোর্স্ট সিহফার দেশটির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মার্কেলের সঙ্গে করমর্দন করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
মার্কেল করমর্দন করতে হাত বাড়ালে তিনি হেসে নিজের হাত দুটো নিজের কাছেই রাখেন। এ সময় চ্যান্সেলরও হেসে উঠেন। আসন গ্রহণের আগে মার্কেল তার হাত আকাশের দিকে উঁচু করে তুলে ধরেন।
এদিকে করোনা ভাইরাস আতঙ্কে ইতোমধ্যেই বিভিন্ন দেশে বদলে যেতে শুরু করেছে মানুষের অভিবাদন জানানোর অভ্যাস। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো করমর্দন, আলিঙ্গন ও গালে চুমু দেওয়ার মতো অভ্যাস বাদ দিচ্ছে। এর বদলে ইশারায় অভিবাদন জানানো শুরু হয়েছে।
চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে করমর্দন না করতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ক একটি নির্দেশনায় বলা হচ্ছে, করমর্দনের বদলে নিজেদের দুই হাত একত্রিত করে অভিবাদন জানাতে।
ফ্রান্সে দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে বলা হচ্ছে গালে চুমু ও কাজে সাধারণ আনুষ্ঠানিকতা করকমর্দনের বদলে চোখে তাকানোই অভিবাদনের জন্য যথেষ্ট।
ব্রাজিলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাগরিকদের পানীয় পানের সময় ধাতব স্ট্র একে অন্যের সঙ্গে ভাগাভাগি না করার পরামর্শ দিয়েছেন।