টপ পোষ্ট

সরিষার তেল মাখলে যে উপকারগুলো অবশ্যই পাবেন

0

এক সময়ে বাংলার ঘরে ঘরে শিশুদের সরিষার তেল মাখিয়ে রোদে রাখার রেওয়াজ ছিল। ধারণা ছিল, তেল ও সূর্যের ভিটামিন ডি শিশুকে ঠাণ্ডা থেকে দূরে রাখবে এবং শরীরের হাড়গোড় মজবুত হবে। শুধু তা-ই নয়, বড়রাও নিয়মিত শরীরে মাখতেন সরিষার তেল।

ত্বক বিশেষজ্ঞদের মতে, ব্যান্ডেড তেল কিংবা বাজারচলতি লোশনের চেয়ে সরিষার তেলে আস্থা রাখাই বুদ্ধিমানের কাজ। তবে সেই তেলকে অবশ্যই খাঁটি হতে হবে।

শুধু ত্বকই নয় হৃৎপিণ্ড, পেশি, গাঁট— হাজারো সমস্যার মোকাবিলায় সরিষার তেলের বিকল্প নেই। তাই কেবল মুড়িমাখা কিংবা আচাড়ে সরিষার তেল নয়, তা কাজে লাগে নানা রোগ নিরাময়েও। কেমন সে সব? তা জেনে নিন…

• ত্বকে ঔজ্জ্বল্য আনতে প্রতিরাতে সরিষার তেলের সঙ্গে সমপরিমাণ নারিকেল তেল মিশিয়ে মিনিট দশেক ধরে মাসাজ করুন। তারপর ভাল করে মুখ ধুয়ে ঘুমোতে গেলে ত্বক যেমন নরম থাকবে, তেমনই উজ্জ্বল হবে।

• রোদে ত্বকে ট্যান পড়া স্বাভাবিক। ডার্ক স্পট, ট্যান বা পিগমেন্টেশন ঠেকাতে বেসন, দই, লেবুর রসের সঙ্গে সরিষার তেল মিশিয়ে মুখে-ঘাড়ে ১০-১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। তারপর ঠাণ্ডা পানি ধুয়ে ফেললে উপকার পাবেন।

• সরিষার তেলে রয়েছে ভিটামিন এ, ই এবং বি কমপ্লেক্স। ফলে এটি রিংকল কমাতে সাহায্য করে।

• সানস্ক্রিনে খুব ঘাম হলে বা কোনভাবে সানস্ক্রিন বাড়িতে না থাকলে অল্প সরিষার তেল হাতের তালুতে ঘষে মুখে লাগিয়ে নিলে তা সূর্যের ক্ষতিকারক আলট্রাভায়োলেট রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করবে। তবে বেশি তেলে ধুলোবালি ধরে রাখে ত্বক। তাই খেয়াল রাখবেন পরিমাণের প্রতি।

• সরিষার তেল অ্যান্টি ব্যাকটিরিয়াল ও অ্যান্টি ফাঙ্গাল উপাদানে ভরপুর। তাই অ্যালার্জি ও র‌্যাশের হানা প্রতিরোধে সাহায্য করে।

• ত্বকের শুষ্কতা ও চুলকানি রুখতেও সরিষার তেল বিশেষ কাজে আসে।

• সরিষার তেলে আয়রন, ক্যালসিয়াম, ফ্যাটি অ্যাসিড ও ম্যাগনেশিয়াম থাকে, যা চুলের বৃদ্ধিতে অনেক সাহায্য করে। এ ছাড়া প্রতি রাতে চুলে সরিষার তেল মালিশ করে লাগালে চুল কালো হবে এবং চুল পাকা রোধ হবে।

• শরীরে মালিশ করলে শরীরের রক্ত সঞ্চালন এবং ঘর্মগ্রন্থি উদ্দীপিত হয় এবং শরীরের তাপমাত্রা কমে।

শেয়ার করুণ

Comments are closed.