টপ পোষ্ট

ঈদ স্পেশাল ত্বকের যত্ন

0

 

 

 

 

রমজান শেষ পর্যায়ে। আর কয়েকদিন পরে আসছে খুশির ঈদ। সে খুশি ছোট-বড় সকলের। আর এখন প্রচণ্ড গরম। এই গরমে অসুস্থ হচ্ছে প্রতিটি পরিবারের এক বা একাধিক সদস্য।

হিট স্ট্রোক, পানিশূন্যতা, জ্বরের মতো রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে এ মৌসুমে। তাই এবার ঈদে খুশির সঙ্গে শরীর ও ত্বকের সুস্থতাকে প্রাধান্য দিতে হবে। কারণ, আপনি যাই খাবেন এবং পান করবেন, সেটি আপনার ত্বকের ওপর প্রভাব ফেলবে।

ঈদে ত্বকের সুস্থতা ও যত্নের বিষয়ে কিছু পরামর্শ পাঠকদের জন্য দেওয়া হল:

১. সারা দিন রোজা রাখার পর ইফতার ও সেহরির সময়টুকুতে পর্যাপ্ত পানি ও পানীয় জাতীয় খাবার গ্রহণ করতে হবে। ঈদের দিনটিতে আনন্দে অনেকে ভুলে যায় পানি পানের কথা। যেহেতু গরমের সময়, এ জন্য পানিস্বল্পতা বেশি দেখা দেয়, তাই ঈদের দিনে প্রচুর পরিমাণ পানি পান করতে হবে, তবে কোমল পানীয় নয়। ডাবের পানি, ডিটক্স ওয়টার, মৌসুমি তাজা ফলের রস, লেবু- পানি হতে পারে উত্তম পানীয়।

২. ঈদের দিন অনেকে বেশি খাবার খেয়ে ফেলে। আকর্ষণীয় ভূরিভোজের বদলে বেছে নিতে হবে সুস্বাদু, পুষ্টিকর ও সহজপাচ্য খাবার। কারণ, রোজা ও ঈদে অতিরিক্ত তেল ও মসলাযুক্ত খাবারে দেখা যায় ব্রণ ও অ্যালার্জি।

ঈদের দিন হঠাৎ করে বেশি খেয়ে ফেললে বদহজম, ডায়রিয়া, এসিডিটি হতে পারে। ঈদের সময় যেকোনো জরুরি অবস্থায় ধারের কাছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগাযোগ করতে হবে।

৩. ঈদের দিন বেশি না খেয়ে অল্প অল্প খেতে হবে। এতে খাদ্যকে উপভোগ করতে পারবেন; ত্বক ও শরীরের ওপর বাজে প্রভাবও পড়বে না।

৪. ডিপ ক্লিনজিং ও ডিপ ময়েশ্চারাইজিং করতে হবে। আমাদের শরীরে প্রতিদিনই ময়লা, ধুলো, ঘাম জমে। তাই ত্বক পরিষ্কারের ক্ষেত্রে প্রথমে মিল্ক বা জেল বেজ ক্লিনজার দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করে ক্ষারমুক্ত মাইল্ড ফেসওয়াশ ব্যবহার করতে হবে ত্বকের ধরন অনুযায়ী। এরপর স্ক্রাবার ব্যবহার করতে হবে। এটি ত্বকের মৃতকোষকে সরিয়ে ফেলবে। স্ক্রাবার হতে হবে মাইক্রোবিটযুক্ত। সপ্তাহে দুদিন এটি ব্যবহার করবেন। ত্বক ভালো রাখতে কেবল ঈদের সময় নয়, সারাবছরই এ পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন।

৫. এরপর ডিপ ময়েশ্চারাইজিং করতে পারেন। তৈলাক্ত ত্বকে ওয়াটার বেজ ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। এখনকার আবহাওয়ায় সেরাম ত্বকের জন্য খুব ভালো। এতে বাড়তি তেল থাকে না। আর যাদের ত্বক শুষ্ক, তারা সেরামের পর অয়েল ফ্রি ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে পারেন। চোখের নিচে আন্ডার আই ক্রিম ব্যবহার করতে হবে। সেইসঙ্গে গলা, হাত, কনুই বা গোড়ালির যত্ন নিতে হবে। তবে মুখ ও শরীরের ত্বক আলাদা। তাই দুই জায়গার ময়েশ্চারাইজার হবে ভিন্ন।

এরপর ফেসিয়াল মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। টক দই পাকা পেঁপে, অ্যালোভেরা দিয়ে পছন্দমতো ফেসিয়াল মাস্ক ব্যবহার করুন। এতে ত্বকে আর্দ্রতা বজায় থাকবে। ঈদের পরেও এই পদ্ধতি চালিয়ে যেতে পারেন।

৬. যেহেতু প্রচণ্ড রোদ। তাই ঈদের সময় বাইরে বেশি ঘোরাঘুরি না করে, ছায়াযুক্ত স্থানে থাকুন। হালকা রঙের সুতির কাপড় পরুন। যে পোশাক আপনাকে স্বস্তি ও আরাম দেবে এ ধরনের পোশাক ঈদে নির্বাচন করুন।

৭. যাঁরা দূরে বেড়াতে যাবেন, তাঁরা তাঁদের শ্যাম্পু, ক্লিনজারগুলো প্যাক করে ফেলুন। দূরে গিয়ে অন্য কোনো পণ্য ব্যবহারে ত্বকে অ্যালার্জি বা র‍্যাশ হতে পারে।

৮. ঈদের সাজ হবে হালকা ওয়াটার বেজ। যেকোনো সাজের আগে সানস্ক্রিন বুলিয়ে নিন। এটি মেকআপ প্রাইমার হিসেবে কাজ করবে।

শেয়ার করুণ

আপনার মন্তব্য দিন