টপ পোষ্ট

শেষ দিনেও কমলাপুরে উপচেপড়া ভিড়

0

 

 

 

 

 

ঈদে ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রির শেষ দিনেও ভিড়ের এতটুকু কমতি নেই। আজ পাওয়া যাচ্ছে ৪ জুনের টিকিট। ৩ জুনের টিকিটের ওপর সবচেয়ে বেশি চাহিদা থাকলেও স্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে কমলাপুর ও বিমানবন্দর স্টেশনে টিকিটপ্রত্যাশিদের উপচেপড়া ভিড়।

বরাবরের মতো টিকিট বিক্রির শেষ দিনেও টিকিট বিক্রিতে ধীরগতির অভিযোগ তুলেছেন টিকিটপ্রত্যাশীরা। কাঙ্ক্ষিত টিকিটের জন্য শনিবার রাত থেকেই কমলাপুরে অপেক্ষায় ছিলেন কয়েক হাজার মানুষ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিড় আরও বাড়তে থাকে।

টিকিটপ্রত্যাশীরা বলছেন, সকালে আরও দুই ঘণ্টা আগে টিকিট বিক্রি শুরু করা গেলে মানুষের ভোগান্তি কম হতো। পাশাপাশি অতিরিক্ত চাপের বিষয়টি মাথায় রেখে বাড়তি কাউন্টার খোলাও দরকার ছিল বলে মত টিকিটপ্রত্যাশীদের।

তবে টিকিটপ্রাপ্তিতে শেষ সুযোগ একটি থাকছে। ২২-২৬ মে পর্যন্ত অনলাইন ও কাউন্টারে বিক্রি না হওয়া টিকিট ২৮ মে (মঙ্গলবার) থেকে ক্রমান্বয়ে পুনরায় অ্যাপ ও কাউন্টার থেকে বিক্রি হবে। ঈদযাত্রা শুরু হবে ৩১ মে থেকে।

এদিকে ‘রেলসেবা’ নামক অ্যাপ নিয়ে ধীরগতির অভিযোগ রয়েছে। অ্যাপে কারও কারও টাকা কেটে নিলেও টিকিট মেলেনি। ফেরত পাচ্ছেন না টাকা।

তবে রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) মিয়াজাহান জানিয়েছেন, কাউন্টার কিংবা অ্যাপের মাধ্যমে টিকিট পাচ্ছেন না- এমন অভিযোগ সত্য নয়। আমরা প্রতিদিন টিকিট বিক্রি করছি। সীমিত টিকিট, তাই কাউন্টার থেকে সবাইকে টিকিট দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। অ্যাপে প্রচণ্ড চাপ।

একই সঙ্গে প্রায় ৩ লাখ মানুষ হিট করছেন। যাদের মধ্যে ৫ থেকে ৭ শতাংশ টিকিট কাটতে পারছেন। অ্যাপেও সীমিত টিকিট রয়েছে। যাদের টাকা কেটে নেয়া হয়েছে, তাদের টাকা ৮ দিনের মধ্যে নিজ নিজ নম্বরে চলে যাবে।

এদিকে ই-সেবার সিএনএস-বিডি লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক মেজর (অব.) মো. জিয়াউল আহসান সরোয়ার বলেন, সীমিত টিকিটের বিপরীতে কেউ যদি অ্যাপে প্রবেশ করতে না পারেন, সেটা নিশ্চয় সিএনএসের কোনো দুর্বলতা নয়। টিকিট বিক্রিতে কোনো অনিয়মের সুযোগ নেই। কারণ টিকিট বিক্রির কোনো অর্থের সঙ্গে সিএনএসের সম্পর্ক নেই।

অ্যাপে ধীরগতি রয়েছে এবং এ অ্যাপে টাকা কেটে নিলেও টিকিট পাচ্ছেন না- এমন অভিযোগের বিষয়ে জিয়াউল আহসান সরোয়ার বলেন, ধীরগতি নয়, যারা প্রবেশ করতে পারছেন, তারা দ্রুত সময়ের মধ্যেই টিকিট কাটতে পারছেন। যারা প্রবেশ করতে পারছেন না, তাদের বিলম্ব হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ‘টিকিট বিক্রিতে স্বচ্ছতার জন্য কমলাপুর স্টেশনে ডিজিটাল ডিসপ্লে লাগানো হয়েছে। কতটি টিকিট বিক্রি হচ্ছে, কে নিচ্ছেন, তার মোবাইল নম্বরসহ তথ্য-উপাত্ত রয়েছে সিএনএসের কাছে।

শেয়ার করুণ

আপনার মন্তব্য দিন