চাঁদপুর থেকে ঢাকায় আসা তরুণীকে (১৯) ধর্ষণের অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে ওয়ারী থানা-পুলিশ। গ্রেপ্তার সবাই সদরঘাটের জাহাজের কুলি।
পুলিশ প্রতিবেদন দিয়ে আদালতকে বলেছে, ধর্ষণের পর তরুণী ১৪ দিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) চিকিৎসাধীন ছিলেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওয়ারী থানার পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, গণধর্ষণের কারণে তরুণী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ ঘটনার সঙ্গে ছিল পাঁচজন। এদের মধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একজন এখনো পলাতক। তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। গ্রেপ্তার ৪ জন হলেন, মাসুদ, শফিকুল, মিরাজ ও জুম্মন। এঁদের মধ্যে আদালতের অনুমতি নিয়ে বৃহস্পতিবার মাসুদকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। বাকিরা কারাগারে আছে। আর পলাতক আছে রাসেল।
তরুণীর (১৯) বাড়ি চাঁদপুর। বাবা-মাকে না বলে গত ২৬ আগস্ট লঞ্চে করে ঢাকার সদরঘাটে আসেন। পরদিন রাত ৩টায় দিকে রিকশায় করে যান গুলিস্তানে। অজ্ঞাত কয়েক যুবক মিলে তরুণীকে কাপ্তান বাজারের মুরগিপট্টিতে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে স্থানীয়রা সেখান থেকে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করায়। ১১ সেপ্টেম্বর হাসপাতালের প্রতিবেদন নিয়ে ওয়ারী থানায় অজ্ঞাত যুবকদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে গণধর্ষণের মামলা করেন।
তদন্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, রাগ করে তরুণী ঢাকার সদরঘাটে চলে আসেন। তাঁর সরলতার সুযোগ নিয়ে সদরঘাটের জাহাজঘাটের পাঁচজন মিলে তরুণীকে ধর্ষণ করে ফেলে রেখে চলে যায়। আসামিরা সবাই ভাসমান।
আদালতকে পুলিশ প্রতিবেদন দিয়ে বলেছে, আসামিরা সবাই মাদকসেবী, সংঘবদ্ধ অপরাধী। লঞ্চে করে সদরঘাটে আসা যাত্রীদের নানাভাবে হয়রানি করে, বিপদে ফেলে।