টপ পোষ্ট

লবণ দিয়ে রসগোল্লার খেতেন উত্তম কুমার!

0

থালার চারপাশে এক একটা বাটিতে সাজানো মাংস, মাছ, ডাল, সবজি, মিষ্টি ও রকমারি ফল৷ এতসবের পরেও মন ওঠে না বাঙালি! আরে ভাই শেষপাতে মিষ্টি মুখ না হলে সব কিছুই যে মাটি!

কিন্তু এদিকে যে আবার মিষ্টিতে লাল চিহ্ন বসিয়েছিলেন ডাক্তার৷ তাই বলে বাঙালি হয়ে জন্মে মিষ্টি কী আর ছাডা় যায়! খেতে তো হবেই তাই অন্য উপায়৷ যেখানে সাপও মরবে কিন্তু লাঠি ভাঙবেনা৷ নুন ছড়িয়ে খেয়ে ফেললেন রসগোল্লা৷ এইভাবে খেলে বোধহয় শরীর স্বাস্থ্যের তেমন ক্ষতি হয় না৷ তাই এমন পন্থায় রসগোল্লা খেতেন মহানায়ক উত্তম কুমার৷

চমকে গেলেন? নাক শিঁটকাচ্ছেন? উত্তম কুমার কিন্তু রসগোল্লার ওপর নুন ছিটিয়ে বেশ আয়েশ করেই খেতেন৷ সম্প্রতি এমন গোপনীয় তথ্য, যা কখনও কারও সামনে আসেনি তা নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে হাজির ছিলেন সুপ্রিয়া দেবীর মেকআপ আর্টিস্ট কিশোর দাস৷ তিনি জানান, উত্তম কুমারের খাওয়ার সময়ে সুপ্রিয়া দেবী নিজে বসে সব খাবার বেড়ে দিতেন৷ “দিদি নিজে হাতেই সবরকম রান্না করতেন দাদার জন্য৷ মাছ, মাংস, মিষ্টি, ফল কিছুই বাদ রাখতেন না তিনি৷ সারাদিন দাদা, দিদির পেছনে লাগতেন৷ খুব ঠাট্টা করতেন তাঁর সঙ্গে৷ কিন্তু ডাইনিং টেবিল ছিল দাদার উইকনেস৷ সেখানেই হেরে যেতেন দাদা৷ কোনটা ছেড়ে কোনটা খাবেন বুঝতে পারতেন না৷ চুপ করে বসে ভাবতেন কোনটা দিয়ে শুরু করবেন৷ সবকিছুই খেতেন তবে অল্প অল্প করে৷ খাওয়ার পর আসত মিষ্টির পালা৷ দাদা মিষ্টির ব্যাপারে সচেতন ছিলেন৷ সুগারের ডিরেক্ট ইনটেক এরিয়ে যেতেন৷ তাই জন্যই নুন দিয়ে রসগোল্লা থেতেন তিনি৷”

বলতে বলতেই নিজেই হেসে ফেললেন কিশোর৷ কথার রেষ টেনে বলতে থাকলেন, “আমি দাদাকে নকল করে লেবু আর নুন ছড়িয়ে রসগোল্লা খেতে শুরু করি৷ মন্দ লাগে না বরং বেশ অন্যরকম একটা স্বাদ পাওয়া যায়৷”

কিশোর সুপ্রিয়া দেবীর সম্বন্ধে আরও কয়েকটি তথ্য প্রকাশ্যে আনেন৷ জানালেন, কীভাবে তিনি উত্তম কুমারের পাঞ্জাবী-পায়জামা, স্যুট, ধুতি, ক্যাশ্যুয়াল শার্ট রেডি রাখতেন৷ যাতে বেরোবার সময় মহানায়কের কোন অসুবিধে না হয়৷

শেয়ার করুণ

আপনার মন্তব্য দিন