বিশেষজ্ঞদের মতে, বেডরুম বা শোবার ঘরে কিছু ভালো অভ্যাস দাম্পত্য জীবনকে মধুর করে তোলে। বেডরুমের পরিবেশ যত ভালো থাকবে মন ততটাই প্রফুল্ল থাকবে। এছাড়া মানুষের ব্যক্তিত্ব বুঝা যায় বেডরুমের দিকে নজর দিলে।
শোবার ঘর বা বেডরুম একটি আবেগপ্রবণ স্থান। এখানে এলোমেলো থাকলে দাম্পত্য জীবনও এলোমেলো লাগবে। সুতরাং দাম্পত্য জীবনকে মধুর করতে বেডরুমে কিছু ভালো অভ্যাস গড়ে তুলুন।
ঘর এলোমেলো রাখবেন না
আপনার নিজের শোবার ঘর, তাই বলে সেটার অর্থ এই নয় যে, আপনি সবকিছু ছড়িয়ে-ছিটিয়ে মনের মতন করে থাকবেন। এতে আপনার সঙ্গী আপনার উপর বিরক্তবোধ করবে। এমনকি আপনার উপর ঘৃণাবোধ তৈরি হবে। বরং নিজের জিনিসগুলো যথাস্থানে সুন্দরভাবে গুছিয়ে রাখুন। এতে আপনার ব্যক্তিত্ব প্রকাশ পাবে। মনে রাখবেন, একজন এলোমেলো নোংরা স্বভাবের মানুষ কারো কাছেই আকর্ষণীয় হয়ে উঠে না।
সোশ্যাল মিডিয়া বেডরুমে নয়
আপনার বেডরুমে যখন রাতে ঘুমাতে যান তখন বিছানায় শুয়ে ফেসবুক, ইন্সটাগ্রামের মত সোশ্যাল মিডিয়া সাইটগুলোতে খুব মনোযোগী হয়ে যান। এটা মোটেও ঠিক নয়। এতে দেখা যাচ্ছে, দু’জনেই বিছানায় রয়েছেন কিন্তু কোন কথা হচ্ছে না। এর ফলে দাম্পত্য জীবনের দূরত্ব বেড়ে যাবে। সুতরাং বেডরুমে এই অভ্যাস ত্যাগ করুন।
খোলামেলা আলোচনা
সুখী দাম্পত্যের চাবিকাঠি হিসেবে বেডরুমকেই বিবেচনা করেন বিশেষজ্ঞরা। বেডরুমে যখন ঘুমাতে আসবেন তখন দু’জন দু’জনের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করবেন। বিশেষজ্ঞ উইন্টার্স বলেন, দাম্পত্য জীবনে বিশ্বস্ত আলোচনা সম্পর্ককে ঘনিষ্ঠ করতে সাহায্য করে। তাছাড়া দুজনের মধ্যে আলোচনার সবচেয়ে নিরাপদ জায়গা হচ্ছে বেডরুম।
ঘুমের সময়ে অভিযোগ নয়
দাম্পতিরা নিজের বেডরুমে সব ধরনের ব্যক্তিগত আলোচনা করবে, তাই বলে হাজার সমস্যার ঝুড়ি নিয়ে বসবেন না। শারীরিক-মানসিক উভয় ক্ষেত্রেই ঘুম একজন মানুষের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ব্যাপার। ঘুমের আগে তাই ঝগড়া করে বা তিক্ত কথা বলে সম্পর্ক নষ্ট করা থেকে বিরত থাকুন।
শুধু বেডরুম নয়, নিজেকেও পরিষ্কার রাখুন
আপনি হয়তো রান্নাঘরের কাজ সেরে বেডরুমে ঢুকে পোশাকটি পরিবর্তন না করে কিংবা অপরিচ্ছন্ন অবস্থায় বিছানায় শুয়ে পড়েছেন। অথবা বাইরে থেকে এসে হাত-মুখ না ধুয়েই শুয়ে পড়লেন বিছানায়। কিন্তু ভেবেছেন কি, যে পাশের মানুষটির কেমন লাগছে আপনার গায়ের ঘাম বা পেঁয়াজ-আদা-রসুনের গন্ধে? সুতরাং এসব মাথায় রেখে বেডরুমে নিজেও পরিচ্ছন্ন থাকুন। এতে আপনার সঙ্গীরও ভালো লাগবে।