টপ পোষ্ট

ক্যান্সার রোগীর সঙ্গে স্বপ্নের মানুষকে মিলিয়ে দিল ইন্টারনেট

0

বহু বছর ধরে দেখা করার ইচ্ছে ছিল টাইগার উডের সঙ্গে৷ এদিকে শরীরে বাসা বেঁধেছে মারণ রোগ ক্যান্সার৷ চতুর্থ স্টেজ চলছে৷ হাতে বেশি সময় নেই৷ বহু বছরের ফ্যানকে তাঁর প্রিয় তারকার সঙ্গে মিলিয়ে দিল প্রযুক্তি৷ ইন্টারনেট দেখা করাল দুই মেরুর দুই বাসিন্দাকে৷

প্রিয় গল্ফ খেলোয়াড়ের বহু বছরের ফ্যান শ্যেন কল্ডওয়েল৷ গত সপ্তাহেই টাইগার উডস তাঁর এই ফ্যানের সঙ্গে দেখা করেন৷ শ্যেনের বাড়ি সাউথ ক্যারোলিনায়৷ বহু প্রতীক্ষার পর আইডলের সঙ্গে দেখা করলেন অগাস্টা ন্যাশনালে৷ ফুসফুসের ক্যান্সারের লাস্ট স্টেজে যুদ্ধ করা ফ্যানকে দেখা দিলেন প্রিয় নায়ক টাইগার উডস৷ অটোগ্রাফ দেওয়া দস্তানাও দিয়েছেন টাইগার তার ফ্যানকে৷ বহুদিনের এই ইচ্ছে পূরণ করেছে প্রযুক্তি বিজ্ঞান৷

কল্ডওয়েলের সৎমেয়ে ফেসবুককে এবং ট্যুইটারকে তার বাবার জীবনের গল্প শেয়ার করতে অনুরোধ করে৷ সে চেয়েছিল তার সৎ বাবার ইচ্ছে তাঁর জীবনের কাহিনী শেয়ার হতে হতে একসময় টাইগার উডের কাছে পৌঁছক৷ এই ঘটনায় বেশকিছুটা হাত রয়েছে উডস এর বান্ধবী এরিকার হারম্যানেরও৷

জর্ডন মিলারের ফেসবুক পোষ্ট অনুযায়ী, তাঁর ও এরিকা হারম্যানের বন্ধু হয়েছে দুবারের কোলন ক্যান্সার নিয়ে বেঁচে থাকা শ্যেন৷ শ্যেনের সঙ্গে দেখা করার বিষয়টা ঠিক করে টাইগার উড ফাউন্ডেশন৷ মিলার জানান, টাইগার উড এবং তাঁর বান্ধবী হারম্যান দুজনেই ক্যান্সারের কারণেই তাঁদের বাবাকে হারান৷ তাই তাঁরা সেই যন্ত্রণা বুঝতে পারেন৷ শ্যেনের জীবনে ছিল এটা একটা বড় পাওনা৷ উডের সেই “শক্ত রাখো নিজেকে” শব্দ গুলোই হৃদয়ের মণিকোঠায় সাজিয়ে রাখতে চায় শ্যেন৷

টাইগার উডস শ্যেনের সম্পর্কে শোনার পরই তাঁর সঙ্গে দেখা করতে রাজি হন৷ শ্যেন তখন হুইল চেয়ারে বসে৷ পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছেন তাঁর স্ত্রী৷ গল্ফ তারকা হাতের গ্লাভসে সই করে তুলে দেন শ্যেনের হাতে৷ টাইগার শ্যেনকে জিজ্ঞেস করেন “আপনি কি শ্যেন?” চোখের সামনে তারকাকে পেয়ে ও তাঁর মুখে নিজের নাম শুনে যেন সব পেয়ে যান মৃত্যু পথ যাত্রী৷ হাতে তুলে দেন অটোগ্রাফ দেওয়া গ্লাভস৷ তাতে লেখা ছিল “শক্ত থাকুন৷” চোখের কোন গড়িয়ে জলের ধারা নামে শ্যেনের৷ ক্যান্সারের শেষ ধাপে পৌঁছে যে কষ্ট তিনি পাচ্ছেন যে লড়াই তিনি করছেন তাতেও হয়ত চোখে জল আনেননি এই ব্যক্তি৷ কিন্তু বহু প্রতীক্ষিত সেই সময়টা যখন সামনে আসল আর তাঁরই জীবনের প্রিয় তারকার সঙ্গে দেখা হয়ে তাঁর কাছ থেকে যে শব্দগুলো পেলেন তাতেই চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি শ্যেন৷

শেয়ার করুণ

আপনার মন্তব্য দিন