ওজন কমানোর জন্য আমরা কত কিছুই না করে থাকি। ডায়েট ও নিয়মিত এক্সারসাইজ তো আছেই, এছাড়াও চিকিৎসকরা সকালে খালি পেটে বিভিন্ন ডিটক্স ওয়াটার পান করার পরামর্শ দেন। ডিটক্স ওয়াটার বলতে প্রথমেই আমাদের মাথায় আসে গরম লেবু পানি এবং মেথি-জিরার পানির কথা। দুটি পানীয়ই স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে অত্যন্ত উপকারি। এই পানীয়গুলি কেবলমাত্র ওজন কমাতেই সহায়তা করে না, পাশাপাশি পাচনতন্ত্রকেও ভাল রাখে। দুটিরই কিছু ভাল এবং কিছু মন্দ দিক রয়েছে।
কিন্তু ওজন কমাতে কোনটা বেশি কার্যকরী? গরম লেবু পানি নাকি মেথি-জিরার পানি? অনেকেই বুঝতে পারেন না ওজন কমাতে কোনটা খাবেন।
আসুন জেনে নেওয়া যাক, এই পানীয় দু’টি সম্পর্কে বিস্তারিত।
গরম লেবু পানির উপকারিতা
সকালে খালি পেটে এক গ্লাস গরম লেবু পানি পান ওজন কমাতে খুবই কার্যকর। এই পানীয়টি ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ এবং শরীরকে হাইড্রেট রাখতেও সহায়তা করে। তাছাড়া, এটি দৈনন্দিন ল্যাক্সেটিভ হিসেবে কাজ করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেও সাহায্য করে। আয়ুর্বেদ অনুসারে, লেবু পাচনতন্ত্রকে সক্রিয় করে, শরীরে টক্সিনের জমা হওয়া প্রতিরোধ করে এবং শরীর থেকে টক্সিন বের করে দিতেও সহায়তা করে।
অপকারিতা
আমরা সকলেই জানি যে, গরম লেবু পানি পান স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে অত্যন্ত উপকারি। তবে এটি ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ হওয়ায়, মূত্রবর্ধক হিসেবেও কাজ করে। এর ফলে ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে।
মেথি-জিরা পানির উপকারিতা
গত এক বছরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ওজন কমানোর ক্ষেত্রে মেথি-জিরা পানি ভীষণভাবে আলোচিত হয়েছে। অনেক সেলিব্রিটিই সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে তাঁরা নিয়মিত মেথি-জিরা পানি পান করেছেন। এর মধ্যে মালাইকা অরোরা হলেন একজন। মালাইকা জানিয়েছিলেন, প্রতিদিন নিয়ম করে তিনি এই মেথি-জিরা পানি খান।
রোজ রাতে এক গ্লাস পানিতে এক চামচ মেথি এবং জিরা ভিজিয়ে সারারাত রেখে দিয়ে, পরের দিন সকালে ওই পানি পান করুন। এই পানীয়টি মলত্যাগে সহায়তা করার পাশাপাশি, শরীর থেকে টক্সিন বের করে দেয়। এমনকি, মেথির বীজ প্রি-ডায়াবেটিস এবং ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও দুর্দান্ত। এই মেথি-জিরা পানি ওজন কমাতেও সহায়ক।
অপকারিতা
মেথি ভেজানো পানি সারা বছর নিরাপদ হলেও, জিরার পানি কিন্তু উষ্ণ প্রকৃতির। তাই এপ্রিল, মে এবং জুনের মতো গরম মাসে এড়িয়ে চলা উচিত। তবে গরমকালে পাচনতন্ত্রকে ঠান্ডা রাখতে জিরার বদলে মৌরির পানি খেতে পারেন।
সূত্র: বোল্ডস্কাই