টপ পোষ্ট

চাকরির খুঁজে এসে মাত্র ৫০ হাজার টাকায় যৌনপল্লীতে বিক্রি হচ্ছে মেয়েরা

0

চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে নিয়ে আসা হয়। তারপর এসব মেয়েদের যৌনপল্লীতে বিক্রি করে দেয়া হয়। এক একটি মেয়েকে অন্তত ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়।

সাম্প্রতিক রিপোর্টে এমনই তথ্য উঠে এসেছে। আর এই নারী পাচার বেড়ে চলেছে ভারত–নেপাল সীমান্তে। ২০১৩ সালে ১০৮ জন মহিলা ও শিশুকে ভারত–নেপাল সীমান্ত থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল। ২০১৭ সালে উদ্ধার করা হয়েছে ৬০৭ জনকে। অর্থাৎ সংখ্যাটা দিনদিন বাড়ছে।

পাচারকারীদের খপ্পর থেকে বেঁচে আসা এক নারী জানান, দালালদের লক্ষ্য থাকে নেপালি মেয়েরাই। তাদের সীমান্তপথে পাচার করে দেয়া হচ্ছে ভারতের মেট্রো শহরগুলিতে। শিশুদের শ্রমিক হিসেবে লাগিয়ে দেয়া হচ্ছে কাজে। আর তরুণীদের বিক্রি করে দেয়া হচ্ছে যৌনপল্লীতে।

দালালরাই ৯–১৬ বছরের মেয়েদের সীমান্ত এলাকা থেকে বাসে করে ভারতে নিয়ে আসছে। সীমান্তেই দাম ঠিক হয়ে যায় মেয়েদের। প্রতিটি শিশুর ক্ষেত্রে দর যেখানে ৬ হাজার টাকা। সেখানে তরুণীদের ক্ষেত্রে সেটা হয় ৫০ হাজার টাকা।

ভারতের গণমাধ্যমে বলা হয়, নেপালি মেয়েদের গ্রাম থেকে প্রথমে কাঠমান্ডু নিয়ে আসা হয়। সেখানে হোটেলে রাখা হয়। তারপর সীমান্ত দিয়ে দালাল মারফত পাচার করা হয়। বাস কিংবা ট্রেনে মেয়েদের দিল্লি, মুম্বাই, কলকাতার যৌনপল্লীতে পৌঁছে দেয়।

নেপালের সমাজ ও নারীকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, দেশের ৭৬ টি জেলার মধ্যে অন্তত ২৬টি জেলায় নারী পাচারের সংখ্যা দিনদিন বাড়ছে। পাহাড়ের তপশিলী জাতির মেয়েদেরই পাচার করা হচ্ছে বেশি। উচ্চবিত্ত পরিবারের মহিলারাও রয়েছে তালিকায়।

শেয়ার করুণ

আপনার মন্তব্য দিন