টপ পোষ্ট

প্রাণহানিতে ব্রিটেনকে টপকে দ্বিতীয় ব্রাজিল

0

একমাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া আক্রান্ত ও প্রাণহানিতে সব দেশকে ছাড়াল লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল। গত মাসেই সংক্রমণে শীর্ষ দুইয়ে ওঠে। প্রতিদিনের রেকর্ড মৃত্যুতে এবার প্রাণহানিতে ব্রিটেনকেও টপকে গেল দেশটি।

করোনায় দিশেহারা ব্রাজিলে এখন অনেকটাই প্রকৃত তথ্য তুলে ধরছে স্বাস্থ্য বিভাগ। ফলে, প্রতিদিনেই উঠে আসছে রেকর্ড আক্রান্ত আর মৃত্যুর মিছিলের খবর। টানা চতুর্থ দিনে রেকর্ড সংক্রমণে ভাইরাসটির ভুক্তভোগী দেশটির সোয়া ৮ লাখের বেশি মানুষ। যাতে প্রাণহানি ৪২ হাজার ছুঁই ছুঁই।

সংক্রমণ শুরুর তিনমাসে করোনা সর্বোচ্চ দাপট দেখিয়েছে লাতিন আমেরিকার দেশটিতে। তবে শুরু থেকেই সরকারের পদক্ষেপ নিয়ে উঠেছে নানারকম প্রশ্ন। তারপরও সেখানে বেঁচে ফিরেছেন প্রায় অর্ধেক মানুষ।

বাংলাদেশ সময় আজ শনিবার সকাল পর্যন্ত দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বিশ্বখ্যাত জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৪ হাজার ২৫৩ জন মানুষের দেহে মিলেছে করোনার সংক্রমণ। এতে করে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৮ লাখ ২৯ হাজার ৯০২জনে দাঁড়িয়েছে। নতুন করে প্রাণ গেছে ৮৪৩ জনের। এ নিয়ে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ৪১ হাজার ৯০১ জনে ঠেকেছে।

আক্রান্ত ও প্রাণহানির তালিকায় অনেক চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন।

সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারো করোনার বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হবে না বলে ঘোষণা দেন। তার ওই ঘোষণাার পরপরই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট থেকে করোনার মহামারি সংক্রান্ত সব তথ্য সরিয়ে ফেলা হয়েছিল। এতে করে ফের কঠোর সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি।

পরে দু’দিনের মাথায় সিদ্ধান্ত পরিবর্তনে বাধ্য হন বলসোনারো। যুক্ত করা হয় নতুন একটি ওয়েবসাইট, যেখানে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হচ্ছে। যদিও, প্রকৃত সংখ্যা তুলে ধরতে সরকার কারসাজি করছে বলে অভিযোগ করেছেন দেশটির স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও গণমাধ্যমগুলো।

যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপে ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর পর ভাইরাসটির এখন প্রধানকেন্দ্র ব্রাজিল। যা লাতিন আমেরিকার অন্যান্য দেশগুলোতেও ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। যার ভয়াবহতার শিকার পেরু, চিলি ও মেক্সিকোর মতো দেশগুলো। যার প্রত্যেকটিতে আক্রান্ত লাখ ছাড়িয়েছে।

শেয়ার করুণ

Comments are closed.