টপ পোষ্ট

কোভিড-১৯: ব্রাজিলে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড

0

করোনা ভয়াবহতা দেখাতে শুরু করেছে দক্ষিণ আরেমকিার দেশ ব্রাজিলে। যেখানে গত একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু রেকর্ড হয়েছে।

দেশটির দেয়া স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য বলছে, গত ঘণ্টায় দেশটিতে ৫০৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা একদিনে সর্বোচ্চ। এতে করে ব্রাজিলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬ হাজার ৪১০ জনে পৌঁছেছে।

প্রাণহানির সঙ্গে সর্বোচ্চ আক্রান্তের ঘটনাও ঘটেছে। গত একদিনে ভাইরাসটি হানা দিয়েছে ৬ হাজার ৭২৯ জন মানুষের দেহে। এ নিয়ে সেখানে করোনা বয়ে বেড়াচ্ছেন ৯২ হাজার ১০৯ জন।

সুস্থ হওয়ার হার অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেকটা এগিয়ে দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশটি। এখন পর্যন্ত সেখানে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৩৮ হাজারেরও বেশি মানুষ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন ৮ হাজার ৩১৮ জন।

এর মধ্যে মানাউস শহরে সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা। প্রতিদিনই সেখানে শতশত মানুষের প্রাণহানি ঘটছে। ফলে, শেষকৃত্য করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে কর্তৃপক্ষকে। ইতিমধ্যেই সেখানে কফিন সংকট দেখা দিয়েছে। মরদেহগুলোর পাহাড় জমেছে মর্গগুলোতে।

অ্যামাজন বনে ঘেরা শহরটিতে অন্তত ২০ লাখ মানুষের বসবাস। প্রত্যন্ত এ এলাকার সঙ্গে দেশের বাকি এলাকাগুলোর সরাসরি সড়ক যোগাযোগও নেই। একারণে সেখানে সংকট কাটাতে আকাশপথে দ্রুত কফিন পাঠাতে সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়েছে ন্যাশনাল ফিউনারেল হোম অ্যাসোসিয়েশন।

তবে, বিশ্বব্যাপী মহামারি রূপ নেয়া করোনা যখন ইউরোপ, আমেরিকাসহ অন্যান্য দেশে ধ্বংসযজ্ঞ চালালেও এখন পর্যন্ত তেমনটা গুরুত্ব দিচ্ছে না ব্রাজিল সরকার। ভাইরাসটিকে সাধারণ ফ্লু হিসেবে গণ্য করে পাত্তাই দিচ্ছেন না দেশটির সরকার প্রধান প্রেসিডেন্ট জাইর বোলসোনারো। ঠিক যেমনটা হয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেত্রে।

আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, করোনার হটস্পট হতে চলেছে ব্রাজিল। তারপরও প্রেসিডেন্টের অসতর্কতায় হুমকির মুখে দেশটির নাগরিকরা। এমন নাজুক অবস্থায়ও দেশে ফের ফুটবল মৌসুম শুরু করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন তিনি।

তার দাবি, ‘শারীরিক ফিটনেসের কারণে খেলোয়াড়দের করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু ঝুঁকি অনেক কম।’ প্রেসিডেন্টর এমন কথায় শুরু হয়েছে বিতর্ক, অনেকে দাবি তুলেছেন পদত্যাগের।

গত ১৫ মার্চ ব্রাজিলের প্রায় সব ফুটবল টুর্নামেন্ট স্থগিত করা হয়েছে। চলতি মাসেই ব্রাজিলিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু হওয়ার কথা। কিন্তু, দেশটিতে প্রতিনিয়ত আশঙ্কাজনকহারে বাড়ছে করোনাক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। সামনে আরও ভয়াবহ অপেক্ষা করছে বলে আশঙ্কা করছেন দেশটির স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞারা।

আর সম্প্রতি করোনা পরিস্থিতি অবনতির দিকে গেলে লকডাউনের পরামর্শ দিয়েছিলেন দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী লুই হেনরিক ম্যানডেট্টা। তার এমন কথায় পদচ্যুত হতে হয় তাকে। শিগগিরই নতুন মন্ত্রী নিয়োগ দেয়া হবে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জাইর বোলসোনারো।

শেয়ার করুণ

Comments are closed.