অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাবার পথে সেন্টমার্টিনের কাছে বঙ্গোপসাগরে রোহিঙ্গা বোঝাই ট্রলার ডুবিতে ১৫ জনের মৃতদেহ ও ৬৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড। নিখোঁজ রয়েছে আরও ৫২ জন। এ ঘটনায় দুই দালালকে আটক করা হয়েছে।
জানা যায়, প্রকৃতপক্ষে পাঁচটা ছোট ছোট বোটে করে মোট ১৩৮ জন রোহিঙ্গা মালয়েশিয়ার উদ্দেশে রওনা করেছিল। পরে দালালরা তাদেরকে একটা বড় বোটে তুলে নেয়, যেটি মঙ্গলবার ভোরে ডুবে যায়। সকাল থেকে যে আরেকটি নিখোঁজ বোটের কথা বলা হচ্ছিল, তা মূলত ওই ছোট ছোট বোটগুলোরই একটা ছিল।
কোস্টগার্ড কর্তৃক সর্বশেষ উদ্ধারকৃত ৭১ জনকে পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য টেকনাফ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। আর নিহত ১৫ জনের লাশ টেকনাফে তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিকে, এখনও নিখোঁজ থাকা ৫২ জনকে উদ্ধারে নৌ-বাহিনী ও কোস্টগার্ডের উদ্ধার অভিযান চলছে। আর বোটে থাকা দুজন দালালকে কোস্টগার্ড গ্রেফতার করেছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের সহকারী পরিচালক (গোয়েন্দা) লেফটেন্যান্ট কমান্ডার এম হামিদুল ইসলাম জানান, ১৩৮ জনের মধ্যে নিখোঁজ ৫২ জন। তাদের উদ্ধারে যৌথভাবে কাজ করছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড।
তিনি বলেন, ‘উদ্ধার অভিযানকালে ওই বোট থেকে দুজন দালালকে আটক করে কোস্টগার্ড। এ ব্যাপারে তাদের বিশদ জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এরপর আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে।’