টপ পোষ্ট

যেভাবে গ্রেপ্তার হয় রেপিস্ট মজনু

0

বুধবার দুপুরে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে ধর্ষক মজনুকে নেওয়া হয় কারওয়ানবাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে। সেখানে জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে মজনুর বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য প্রকাশ করেন সারোয়ার বিন কাশেম।

সারোয়ার বিন কাশেম বলেন, সেই রাতে মেয়েটির ফেলে যাওয়া মোবাইল ফোন, ব্যাগ এবং পাওয়ার ব্যাংক নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন মজনু। কুর্মিটোলায় অরুণা নামে পরিচিত এক নারীর কাছে ফোনটি বিক্রি করে দেন ৫০০ টাকায়। তবে অরুনা তাৎক্ষণিকভাবে তাকে ৪০০ টাকা দিয়ে, বাকি টাকা পরে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।

সেখান থেকে মজনু প্রথমে যান বিমানবন্দর স্টেশনে। ওই রাত তিনি নরসিংদীতে কাটান। পরে অরুণার কাছে বাকি ১০০ টাকা নিতে ঢাকায় আসেন। মঙ্গলবার সারাদিন তিনি ছিলেন বনানী স্টেশনে। এরপর বুধবার ভোরে তাকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

“এটা একটা ক্লুলেস অপারেশন ছিল, আমাদের কাছে কোনো সিটিটিভি ফুটেজ ছিল না। কোনো তথ্য ছিল না। জাস্ট কিছু বর্ণনার সূত্র ধরে আমরা তদন্ত করেছি।”

র‌্যাব কর্মকর্তা কাশেম বলেন, ভিকটিমের মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে তারা খায়রুল নামে এক রিকশাচালককে আটক করেন। খায়রুল ওই মোবাইল কিনেছিলেন অরুণার কাছ থেকে। পরে খায়রুলের দেওয়া তথ্যে অরুণাকেও আটক করা হয়।

“অরুণার দেওয়া তথ্যের সঙ্গে ভিকটিমের তথ্য মিলিয়ে আমরা সিদ্ধান্তে আসি যে তারা (মোবাইল বিক্রেতা  ও ধর্ষক) একই ব্যক্তি। কারণ তার বাড়ি নোয়াখালী, স্থানীয় ভাষায় সে কথা বলে, তার সামনে দাঁত নেই। চুল কোঁকড়া এবং সে খর্বকায়। এই তথ্যগুলো মিলিয়ে আমরা তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই।”

শেয়ার করুণ

Comments are closed.