টপ পোষ্ট

বিশ্বকাপের পর দেখা যাবে না যে ১০ মহারথীকে

0

 

 

 

 

 

 

 

এই বয়সেও তরুণ রক্তের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে খেলছেন তারা। তবে সব কিছুরই একটা শেষ আছে। তাই তারাও ক্রিকেটকে বিদায় জানাবেন এটাই অনুমেয় ছিল। আর সেটা হতে যাচ্ছে দ্বাদশ বিশ্বকাপের পরই। জানা গেছে মাশরাফি-ধোনি-মালিকসহ বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার এবারই তাদের শেষ বিশ্বকাপ খেলে ফেলেছেন।

চলুন জেনে নেওয়া যাক, বিশ্ব ক্রিকেটের আর কোন কোন তারকা থাকতে পারেন সেই তালিকায়।

ক্রিস গেইল– ইউনিভার্স বস নিজেই জানিয়েছিলেন, বিশ্বকাপের পর ভারতের বিরুদ্ধে খেলে অবসর নিতে চান। জায়গা ছেড়ে দিতে চান তরুণদের। ৪০ ছুঁইছুঁই এই ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যান নিজের দিনে যে কোনও বোলারের রাতের ঘুম কেড়ে নিতে পারেন।

মহেন্দ্র সিং ধোনি- এ বারের বিশ্বকাপে তার মন্থর ব্যাটিং নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বার বার। ভারতের মিডল অর্ডারকে তিনি ভরসা দিতে ব্যর্থ। অধিনায়ক হিসেবে আইসিসি-র সব ট্রফির মালিক তিনি। উইকেটের পেছন থেকে এখনও ঠাণ্ডা মাথায় সাহায্য করে চলেছেন বিরাটকে। বিশ্বকাপের পরেই হয়তো ভারতীয় ক্রিকেটের সফলতম অধিনায়ক তুলে রাখবেন তাঁর দস্তানা।

শোয়েব মালিক- পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক এ বারের বিশ্বকাপে খেলেছেন মাত্র তিনটি ম্যাচ। রান করেছেন আট। ভারতের বিরুদ্ধে প্রথম বলেই বোল্ড হয়ে ফিরে যাওয়ায় আরও প্রশ্ন ওঠে তাকে নিয়ে। বিশ্বকাপের পরেও তাকে খেলতে দেখা যাবে কি না তা নিয়েও প্রশ্ন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের মনে।

মোহাম্মদ হাফিজ- আরেক পাক- অলরাউন্ডারও ৩৮ পেরিয়ে গিয়েছেন। এ বারের বিশ্বকাপে ২২৬ রান ও একটি উইকেট নিয়েছেন তিনি। পাক মিডল অর্ডারের অন্যতম ভরসা হাফিজ সতীর্থদের কাছে পরিচিত প্রফেসর নামে। বিশ্বকাপের শেষে নির্বাচকরা নতুন করে দল তৈরি করতে চাইবেন। সেখানে হাফিজের জায়গা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

লাসিথ মালিঙ্গা- শ্রীলঙ্কার এই পেসার একাই শেষ করে দিয়েছিলেন ইংল্যান্ডকে। প্রশ্ন তুলে দিয়েছিলেন তাদের বিশ্বকাপ ভবিষ্যৎ নিয়েও। তবে শুধু মাত্র অভিজ্ঞতা দিয়ে আর বোধহয় ক্রিকেট জীবন টানা সম্ভব হবে না তার। ভঙ্গুর শ্রীলঙ্কা টিমে তিনিই একমাত্র ভরসা ছিলেন। তবে এ বার বিশ্বকাপের পর আর কাউকে বলে চুম্বন করে ঝাঁকড়া চুল নিয়ে সাইড- আর্ম অ্যাকশনে বল করতে দেখা যাবে কি না সেটাই দেখার।

অ্যাঞ্জেলো মাথিউস- ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচে দেড় বছর পর বল করতে এসে প্রথম বলেই পুরানের উইকেট নিয়ে খেলা ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। চোটের জন্য বল করেন না বহুদিন। বিশ্বকাপে ব্যাট হাতে ছয় ম্যাচে মাত্র ১৩১ রান। লোয়ার মিডল অর্ডারে ভরসার জায়গা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। অনভিজ্ঞ শ্রীলঙ্কা দলে তাঁর অভিজ্ঞতার দাম এই মুহূর্তে অনেক। কিন্তু বিশ্বকাপ শেষে তাঁর চোট, খারাপ ফর্ম কি উপেক্ষা করতে পারবে শ্রীলঙ্কার সিলেকশন কমিটি?

ইমরান তাহির- এ বারের বিশ্বকাপে সব থেকে বয়স্ক ক্রিকেটার এই আফ্রিকান স্পিনার। ইতোমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন, অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধেই বিশ্বকাপে শেষ ম্যাচ খেলবেন তিনি। পাক- বংশোদ্ভুত এই স্পিনারের ভেল্কিতে ছিটকে গিয়েছে অনেকেরই উইকেট। যদিও দক্ষিণ আফ্রিকাকে সেমিফাইনালে তুলতে ব্যর্থ তিনি। এখনও পর্যন্ত দশ উইকেট নিয়েছেন এই বিশ্বকাপে।

ডুমিনি- দক্ষিণ আফ্রিকার এই অলরাউন্ডারও জানিয়ে দিয়েছেন একদিনের ক্রিকেট থেকে অবসর নেবেন বিশ্বকাপ খেলেই। ২০০৭ সালে টেস্ট থেকে অবসর নিয়ে নেওয়া দুমিনি এখন শুধু টি-২০ খেলবেন দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে। বিশ্বকাপে চার ম্যাচে ৫৬ রান ও একটি উইকেট নিয়েছেন তিনি। এই পারফরমান্সের পরে একদিনের দলে নিয়মিত তিনি সুযোগ পাবেন কিনা তা বলা শক্ত।

রস টেলর: বহুদিন ধরে কিউয়ি ব্যাটিং-এর চার নম্বরে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন তিনি। অবসরের বিষয়ে তিনি কিছু না বললেও বয়স থাবা বসিয়েছে তাঁর খেলায়। বিশ্বকাপে সাত ইনিংসে ২৬১ রান, গড় ৩৭.২৮ ব্যাটে আসেনি কোনও শতরান। তাঁর অভিজ্ঞতা এই বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বড় ভরসা। টেলর ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন ১০০ টেস্ট খেলার। তবে বিশ্বকাপের পর একদিনের ক্রিকেটে তাঁকে আর দেখা যায় কি না সেটাই দেখার।

মাশরাফি বিন মর্তুজা- বাংলাদেশের অধিনায়কের বিভিন্ন চোট ভোগাচ্ছে তাকে বহুদিন। টেস্ট, টি-২০ দল থেকে বিদায় নিয়েছেন আগেই। একদিনের ক্রিকেটে অধিনায়ক হলেও এ বারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ভাল দল নিয়েও সেমিফাইনালে না পৌঁছানোর দায় তিনি এড়াতে পারেন না।  যাই হোক শোনা যাচ্ছে এটাই তার শেষ বিশ্বকাপ।

শেয়ার করুণ

আপনার মন্তব্য দিন