সোমবারই যুক্তরাজ্যে সফরে গিয়ে ব্রিটিশ রাজপরিবারের সঙ্গে সাক্ষাতের কর্মসূচি আছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। আর মঙ্গলবার তিনি বৈঠক করবেন রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে।
কিন্তু এর মধ্যেই ঝামেলা বেধেছে সফরের আগে সান পত্রিকাকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে রাজপরিবারের সদস্য মেগান মার্কেলকে নিয়ে করা একটি মন্তব্যকে কেন্দ্র করে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়, ব্রিটেনের রানি এলিজাবেথের নাতি প্রিন্স হ্যারির স্ত্রী, ডাচেস অব সাসেক্স, মেগান মার্কেলকে `ন্যাস্টি`, অর্থাৎ নোংরা বলার কথা অস্বীকার করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও মিস্টার ট্রাম্পের এমন মন্তব্যের অডিও টেপ আছে।
রোববার অবশ্য টুইট করে ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমি কখনোই মেগান মার্কেলকে নোংরা বলিনি। এগুলো ফেক নিউজ মিডিয়ার বানানো। সিএনএন নিউইয়র্ক টাইমস ক্ষমা চাইবে? সন্দেহ আছে।’
যুক্তরাজ্য সফরের আগে একটি সংবাদপত্রকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প মেগান মার্কেলকে নিয়ে ওই মন্তব্য করেছিলেন। সাবেক মার্কিন অভিনেত্রী মার্কেল ট্রাম্পের একজন কট্টর সমালোচক ছিলেন।
২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় তিনি ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী হিলারি ক্লিনটনকে সমর্থন দিয়েছিলেন। সে সময় তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নারীবিদ্বেষী ও বিভাজন সৃষ্টিকারী হিসেবেও মন্তব্য করেছিলেন।
ব্রিটেনের দি সান পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মেগান মার্কেলের এসব মন্তব্য সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়েছিল।
তিনি বলেন, ‘আমি এটা জানতাম না। আমি কী আর বলতে পারি? আমি জানতাম না তিনি এমন নোংরা।’
তবে ট্রাম্প বলেছেন যে তিনি আনন্দিত কারণ, মেগান মার্কেল রাজপরিবারে যোগ দিয়েছে এবং তিনি বিশ্বাস করেন যে মেগান `ভালো রাজবধূ` হবেন।
‘এটা চমৎকার এবং আমি নিশ্চিত যে তিনি ভালো করবেন’।
কিন্তু শনিবার দি সান পত্রিকা তাদের ওয়েবসাইটে একটি অডিও রেকর্ডিং পোস্ট করে।
এরপরই বিভিন্ন কমেন্টরের দৃষ্টি আকর্ষণ করে যদিও ওইদিনই টুইট করে মেগান মার্কেলকে নোংরা বলার কথা অস্বীকার করেন মিস্টার ট্রাম্প।
প্রিন্স হ্যারির স্ত্রী, ডাচেস অব সাসেক্স, মেগান মার্কেল মে মাসে তাঁদের প্রথম সন্তানের জন্ম দিয়েছেন।
এখনো তিনি মাতৃত্বকালীন ছুটিতে রয়েছেন এবং ৩-৫ জুন মিস্টার ট্রাম্পের যুক্তরাজ্য সফরের সময় তিনি তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন না বলেই মনে করা হচ্ছে।
