টপ পোষ্ট

দেশের অর্থনীতিকে ‘রক্তশূন্য’ করে দিচ্ছে সরকার

0

ব্যাংকিং খাতকে লোপাট করে সরকার দেশের অর্থনীতিকে ‘রক্তশূন্য’ করে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। দলটির পক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করে বেশ কিছু চিত্র তুলে ধরা হয়।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করে বলেন, ‘ঋণের নামে ও বিভিন্ন কারসাজি করে গ্রাহকের প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা লুটে নিয়েছে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী, সমর্থক ও আওয়ামী মদদপুষ্ট গোষ্ঠী। মুখ থুবড়ে পড়েছে ব্যাংকিং খাত। প্রশাসনিক ছত্রচ্ছায়ায় কোনো নিয়ম-কানুনের তোয়াক্কা না করে ব্যাংকের মালিকানা জোর করে বদল করা হচ্ছে। ব্যাংকগুলোতে রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা এবং পরিবারতন্ত্র কায়েমে বেড়ে গেছে মুদ্রাপাচার ও ঋণখেলাপির মাত্রা। এতে প্রথম সারির অর্থনীতিবিদরা অর্থনীতির জন্য অশনিসংকেত মনে করছেন। আমরা মনে করি, বর্তমানে সব ব্যাংকিং খাতে যে রক্তক্ষরণ হচ্ছে, তা অচিরেই অর্থনীতিকে রক্তশূন্য করে ফেলবে।’

ব্যাংকিং খাতে এ রকম অবস্থায় এ বছর আরো ‘তিনটি বেসরকারি ব্যাংকে’র অনুমতি প্রদান এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ‘ক্ষমতা খর্ব’ করার সমালোচনা করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, অতি সম্প্রতি ব্যাংক মালিকদের চাপের মুখে আরো ছাড় দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। তিনি ব্যাংকগুলোর জন্য বাধ্যতামূলক নগদ জমার হার (সিআর) ১ শতাংশ কমিয়ে দিয়েছেন। এতে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর হাতে যাবে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা।’

ফখরুল বলেন, ২০০৯ সালে সোনালী ব্যাংক থেকে হলমার্ক গ্রুপের সাড়ে চার হাজার কোটি টাকারও বেশি অর্থ আত্মসাতের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর তত্কালীন স্বাস্থ্যবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দ মোদাচ্ছের আলীসহ রাজনৈতিক বিবেচনায় নিযুক্ত পরিচালনা পরিষদের সদস্যদের নাম জড়িয়ে আছে। তিনি বলেন, বিসমিল্লাহ গ্রুপের এক হাজার ২০০ কোটি টাকার বহুল আলোচিত ঋণ জালিয়াতির কথা সবাই জানে। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি, ২০১০ সালের শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারি, হলমার্ক, বেসিক ব্যাংক, বিসমিল্লাহ ও ডেসটিনি কেলেঙ্কারিসহ ছয়টি বড় অর্থ কেলেঙ্কারির বিস্তারিত সবার জানা আছে।

দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, এ সরকার যেহেতু জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয় বলেই তারা জনগণের পকেট কেটে সেই অর্থ গুটিকয়েক মানুষের মধ্যে বিতরণ করছে, দুর্নীতির পাহাড় গড়ছে।

স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, ব্যাংকিং খাতের যা হচ্ছে তা হলো ভোগ ও নিয়ন্ত্রণ। ব্যাংকের যে একটা আলাদা সত্তা থাকে সেটা সম্পূর্ণভাবে ভেঙে দিয়েছে সরকার। সব কিছুকে তারা রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণে নিয়ে গেছে। একদলীয় নিয়ন্ত্রণের অংশ হিসেবে তারা ব্যাংকিং খাতকে নিয়ন্ত্রণের মধ্যে এনে এ খাতে এই ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে এনেছে।

শেয়ার করুণ

আপনার মন্তব্য দিন