টপ পোষ্ট

সহসাই থামছে না বিরাজমান তীব্র তাপপ্রবাহ

0

বড় ধরনের ঝড়-বৃষ্টি ছাড়া তীব্র তাপপ্রবাহ সহসাই থামছে না। আবহাওয়া অফিসের তথ্য, মাসজুড়ে এমন তাপপ্রবাহ থাকবে। পরিস্থিতি বিবেচনায়, স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসায় এক সপ্তাহের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

অতীতের সব রেকর্ড ভাঙতে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ। গরমের তীব্রতায় ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা জনজীবনে। বাস্তবতা বিবেচনায় দেশের সরকারি-বেসরকারি স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসা বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার।

শ্রমজীবী মানুষ নিরূপায়; ঘর থেকে বেরোতেই হয় তাদের। গরম থেকে বাঁচতে চেষ্টার অন্ত নেই তাই। সবার হাতে পানির বোতল। আইসক্রিম কিংবা শরবত, মৌসুমি ফলে ঠাণ্ডা থাকার আপ্রাণ চেষ্টা।

এক রিক্সাচালক জানান, বিশাল কষ্ট, ঠিকমতো রোজগার করতে পারছিনা রোদের কারণে। বাইরে বের হওয়া যাচ্ছেনা। গরমটা অসম্ভব, সহ্য করতে পারছিনা। তাই গাছের নিচে আশ্রয় নিয়েছি।

আবহাওয়া অফিসের কাছে তেমন সুখবর নেই। চলতি মাসের ২৫ তারিখের পর বজ্রসহ ঝড়ের সম্ভাবনা আছে। দেশে বিচ্ছিন্নভাবে যেসব ঝড় বৃষ্টি হচ্ছে, তা এই তাপ কমাতে যথেষ্ট নয়।

আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, “এপ্রিল মাস ধরেই তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে। এ থেকে পরিত্রাণের একমাত্র উপায় বজ্রপাত সংগঠিত হওয়া। বজ্রপাত হলে সাধারণত তাপমাত্রা ২ থেকে ৬ ডিগ্রি পক্ষান্তরে কোনো কোনো জায়গায় ২ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে স্বস্তিদায়ক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে।”

স্বাস্থ্যের দিক বিবেচনায় রেখে দুপুর ১২টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত উন্মুক্ত স্থানে না থাকার পরামর্শ দিয়েছেন, আবহাওয়াবিদ ও চিকিৎসকরা।

বাংলাদেশ শিশু হসপিটাল এন্ড ইনস্টিটিউট সহযোগী অধ্যাপক ড. ফারহানা আহমেদ স্বরণী বলেন, “ওই সময় বোতলে করে স্যালাইনের পানি বা ডাবের পানি একটু একটু খেতে পারে।”

আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, “৪২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ইতিমধ্যে ওঠানামা করছে এই তাপমাত্রা কখনও কখনও ৪৪ থেকে ৪৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মতো অনুভূত হতে পারে।”

চলমান পরিস্থিতিতে তিন দিনের হিট এলার্ট শেষে আবারও একই ঘোষণা আসার শঙ্কা রয়েছে।

শেয়ার করুণ

Comments are closed.