টপ পোষ্ট

আকার-স্থান বিবেচনায় ইসরায়েলের আক্রমণ খুবই নগণ্য

0

বিবিসির নিরাপত্তা বিষয়ক সংবাদদাতা ফ্রাঙ্ক গার্ডনারের মতে, ইরানের গত শনিবারের ড্রোন এবং মিসাইল হামলার জবাব যে দেবে এটা ইসরায়েল আগেই স্পষ্ট করেছিল। সেই জবাব তারা দিয়েছে বলেই মনে হচ্ছে। যদি সত্যিই এটা ইসরায়েলের জবাবের শুরু এবং এটাই শেষ হয়ে থাকে, তাহলে বলতে হবে হামলার আকার বা স্থান বিবেচনায় এই জবাব খুবই সামান্য।

ইরানের ইসফাহানের আজকের সকালটা আর দশটা সকালের মতোই।

সপ্তাহজুড়ে পশ্চিমা মিত্র বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রিটেন ইসরায়েল সরকারকে তাগিদ দিয়ে আসছিল যেন ইরানি হামলার জবাবে বড় ধরনের পাল্টা হামলা চালানো না হয়।

যদিও ইরানের সেই হামলা রীতিমতো চাঞ্চল্যকর কিন্তু সেটাও আসলে ছিল একটা প্রতিশোধ।

পহেলা এপ্রিল সিরিয়ার দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেটে বিমান হামলা চালিয়েছিল ইসরায়েল। দু’জন শীর্ষ সামরিক কমান্ডারসহ ১৩ জন নিহত হন ওই হামলায়। এর প্রতিশোধ নিতেই গত শনিবার ইসরায়েলে আক্রমণ করে ইরান।

এখন পরিস্থিতি কোনদিকে গড়াবে সেটা দুটো বিষয়ের ওপর নির্ভর করে: ইসরায়েলের হামলা এখানেই শেষ কিনা এবং ইরান পাল্টা হামলার সিদ্ধান্ত নেয় কিনা।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা নিশ্চিত করেছে যে ইরানের পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্র বা স্থাপনাগুলোতে কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

জাতিসংঘের এই সংস্থাটির মহাপরিচালক রাফায়েল মারিয়ানো গ্রসি শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে জোর দিয়ে বলেছেন যে, পারমাণবিক স্থাপনাগুলো সামরিক সংঘাতের লক্ষ্য হওয়া উচিৎ নয় এবং তিনি সবাইকে সর্বোচ্চ ধৈর্য্য ধারণ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

এর আগে ইরানের আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা তাসনিমের বরাত দিয়ে তিনি বলেছেন যে, ইসফাহানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো ‘সম্পূর্ণ নিরাপদ’।

এদিকে, ইসরায়েলের হামলার খবর প্রকাশ হবার কয়েক ঘণ্টা পর একজন জ্যেষ্ঠ ইরানি কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, “ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অবিলম্বে প্রতিশোধ নেওয়ার কোনও পরিকল্পনা নেই ইরানের।”

দুই মার্কিন কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেছেন, ইরানের ওপর এই হামলার ইসরায়েলের পক্ষ থেকে করা হয়েছে। যদিও ইসরায়েল এখন পর্যন্ত এই হামলার দায় স্বীকার করেনি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইরানি ওই কর্মকর্তা বলেন, “এই ঘটনাটি যে বিদেশি কোন উৎস থেকে হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আমরা বাইরে থেকে কোনও আক্রমণের সম্মুখীন হইনি এবং চলমান আলোচনা হামলার চেয়ে অনুপ্রবেশের দিকেই বেশি ঝুঁকছে।”

এদিকে মাত্র এক ঘন্টা আগে একজন ইরানি বিশ্লেষক দেশটির রাষ্ট্রীয় টিভিকে বলেছিলেন, “ইসফাহানে বিমান প্রতিরক্ষা দিয়ে যে মিনি ড্রোনগুলোকে গুলি করা হয়েছিল, সেগুলো ইরানের ভেতর থেকেই অনুপ্রবেশকারীরা উড়িয়েছিলো।”

সূত্র: বিবিসি

শেয়ার করুণ

Comments are closed.