টপ পোষ্ট

প্রধানমন্ত্রীকে সৈয়দ আবুল হোসেনের পরিবারের কৃতজ্ঞতা

0

সদ্য প্রয়াত সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনের পরিবারের প্রতি সহমর্মীতা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শোক সন্তপ্ত পরিবারটিকে গভীর সমবেদনা জানাতে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গনভবন হতে তিনি প্রয়াত সৈয়দ আবুল হোসেনের গুলশানের বাড়িতে যান। দেড় ঘন্টা অবস্থান কালে প্রধানমন্ত্রী শোক প্রকাশের পাশাপাশি তার পরিবারের প্রতি সহানুভূতি ও সহমর্মিতা জানান।

প্রয়াত সৈয়দ আবুল হোসেনকে পূর্ব ইচ্ছা অনুযায়ী উপমহাদেশের প্রখ্যাত ওলিয়ে কামেল হযরত খাজা বাবা ইউনুস আলী এনায়েতপুরী (রঃ) এর পবিত্র মাজার শরীফের পাশে সমাহিত করা হয়েছে জেনে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মাজার শরীফে প্রতিনিয়ত আগত অগণিত ধর্মপ্রাণ মুসল্লীদের জিয়ারত ও দোয়া দরুদের ফলে তার আত্না শান্তি পাবে।

এসময় আবুল হোসেনের স্ত্রী খাজা নার্গিস হোসেন ও তার দুই মেয়ে উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত সৈয়দ আবুল হোসেনের কর্মময় জীবনের কথা উল্লেখ করে বলেন, দেশের উন্নয়ন অগ্রগতির পাশাপাশি মানুষ ও আওয়ামী লীগের জন্য তিনি যা করে গেছেন তা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। তার শূন্যতা কখনো পূরণ হবার নয়।

প্রধানমন্ত্রীর আকস্মিক আগমনে সিক্ত প্রয়াত সৈয়দ আবুল হোসেনের স্ত্রী খাজা নার্গিস হোসেন বৃহস্পতিবার দুপুরে জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন মহানুভব মানুষ। নিজে আমাদের বাড়িতে এসে যে সহমর্মিতা ও ভালোবাসা জানিয়ে গেলেন, তার জন্য আমরা চির কৃতজ্ঞ। তিনি আমাদেরকে বলেছেন, তার দরজা সব সময় সৈয়দ আবুল হোসেনের পরিবারের জন্য খোলা থাকবে।

এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অকুণ্ঠ ভালোবাসা ও দায়িত্ববোধের প্রতি সম্মান জানিয়ে সৈয়দ আবুল হোসেনের ভায়রা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের প্রাক্তন চেয়ারম্যান, বর্তমানে কানাডায় অধ্যাপনায় নিয়োজিত ড. গোলাম দস্তগীর বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের দেশের রাজনীতিতে শুধু অপরিহার্যই নয়, রাজনীতিতেও সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে চলেছেন। দলের একজন নেতার প্রতি তার এ ভালবাসাই মহানুভবতার পরিচয় প্রকাশ করে।

উল্লেখ্য, সৈয়দ আবুল হোসেন মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার বেতগ্রামে ১৯৫১ সালের ১ আগষ্ট জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন, একজন রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, লেখক সহ নানা গুণের অধিকারী।

এছাড়া তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হয়ে মাদারীপুর-৩ আসন থেকে ১৯৯১ সালে ৫ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হন। এরপর তিনি সপ্তম, অষ্টম ও নবম সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের এলজিইডি প্রতিমন্ত্রী ও ২০০৯ থেকে ২০১২ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকারের যোগাযোগ মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া তিনি আওয়ামী লীগের সাবেক আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন।

গত ২৫ অক্টোবর বুধবার ভোর রাতে সৈয়দ আবুল হোসেন ঢাকার একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।

শেয়ার করুণ

Comments are closed.