টপ পোষ্ট

রানা প্লাজা ট্র্যাজিডির পাঁচ বছর আজ

0

পাঁচ বছর আগে আজকের দিনেই রানা প্লাজা ধসের ভয়াবহতা চমকে দিয়েছিল পুরো জাতিকে। হাজারো শ্রমিক প্রাণ হারিয়েছিলেন সেই দুর্ঘটনায়। যারা বেঁচে ফিরেছেন তাদের অনেকেই আজও চিকিৎসাধীন। কেউ কেউ অর্থাভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না। অচল অবস্থায় বেদনায় ভরা জীবন পার করতে হচ্ছে তাদের।

এভাবেই ঘাতক রানা প্লাজা পাল্টে দিয়েছে জীবনের সব গল্প। কেড়ে নিয়েছে জীবনের গতি। ওলটপালট হয়ে গেছে সব স্বপ্ন, নিজের ভালো থাকা অন্যকে ভালো রাখার কাহিনীও। শুরু হয়েছে ক্ষত পায়ের উপর ভর করে বেচেঁ থাকা। বয়ে বেড়ানো বিকলাঙ্গ জীবন। মানুষের ভুল আর অবহেলার সৃষ্টি রানা প্লাজার ট্রাজেডি এখন শুধুই আতঙ্ক। শরীরের ক্ষত নিয়ে পার করতে হবে সারাটা জীবন।

এমন ঘটনা আর যাতে না ঘটে সেদিকে করা নজর রয়েছে বিজিএমইএর। বর্তমানে এই খাতে শ্রমিকদের নিরাপত্তার কোন কমতি নেই বলেও জানান বিজিএমইএর সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান। দেশে এমন একটা ট্রাজেডির ৫ বছর পার হলেও এখন নির্দিষ্ট হয়নি শ্রমিকদের ক্ষতিপুরণের পরিমান। একজন শ্রমিক জীবনের মুল্য আটকে আছে ২ লাখ টাকায়।

সিপিডি’র গবেষণা পরিচালক ড. গোলাম মোয়াজ্জেম এর পরামর্শ- পরবর্তীতে এ ধরণের ঘটনা হলে কোন আইনের সাপেক্ষে এর সমাধান তা ঠিক করতে হবে এবং সঙ্গে শ্রমিকদের বীমাসহ অন্যান্য সুযোগসুবিধা বাস্তবায়নের ওপর জোর দেন তিনি। শ্রমিকরা ভুলে যেতে চায় রানাপ্লাজার ভয়াবহতার কথা। আর নিশ্চয়তা চায় নিরাপদ কর্মপরিবেশের। কারণ তাদের শ্রমেই মেলে বৈদেশিক মুদ্রা।

প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ২৪শে এপ্রিল সাভারে ঘটে যায় দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ভবন ধ্বসের ঘটনা। ওই ঘটনায় প্রাণ যায় এক হাজার ১৩৬ জনের। আহত হন দেড় হাজারেরও বেশি শ্রমিক। পরে, অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগে ২১ জনকে আসামী করে সাভার থানায় একটি মামলা করা হয়। আর ইমারত বিধিমালা না মেনে ভবন তৈরির অভিযোগে ১৩ জনকে আসামি করে আরেকটি মামলা করে রাজউক। দুই মামলাতেই মূল আসামী করা হয় ভবন মালিক সোহেল রানাকে।

দীর্ঘদিন তদন্তের পর ২০১৫ সালের জুনে হত্যা মামলায় ৪১ জনকে ও ইমারত আইনের মামলায় ১৮ জনকে আসামী করে অভিযোগপত্র দেয়া হয়। অবহেলাজনিত মৃত্যুর মামলাটির বিচার কাজ শুরু হলেও অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আসামিরা হাইকোর্টে গেলে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। এই সুযোগে রানা বাদে সব আসামীই জামিন পান।

শেয়ার করুণ

আপনার মন্তব্য দিন