টপ পোষ্ট

সুপারিশ আমলে নেবার কিছু নেই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

0

যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল সফর শেষে নির্বাচন সুষ্ঠু করতে ৫ দফা সুপারিশ করে বিবৃতি দিয়েছে। অন্তর্ভূক্তিমূলক নির্বাচনের জন্য দলগুলোর সংলাপ করার পরামর্শ দিয়েছে তারা। এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডক্টর এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বিবৃতিতে তারা অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে মাতব্বরি করে গেছে। এটিকে, আমলে নেবার কিছু নেই।

ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিক ইনস্টিটিউট ও ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউটের প্রতিনিধি দলের সফর শেষে বিবৃতি জানিয়েছে মার্কিন এই সংস্থা দুটি।

দশ পাতার বিবৃতিতে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, রাজনৈতিক দলগুলোর সভা সমাবেশ করার স্বাধীনতা, সবার অংশ গ্রহণমূলক ও সহিংসতামুক্ত নির্বাচন অনুষ্ঠান, নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতাসহ বেশ কিছু সুস্পষ্ট ৫ দফা সুপারিশ করা হয়েছে।

তাদের সুপারিশ মত সংলাপে বসবে কিনা জানতে চাওয়া হয়েছিল পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, “তারা ফরমায়েশি একটি বিবৃতি দিয়েছে। একে কি বললো না বললো তাতে কিছু যায় আসেনা। তাদের দেশেই কোনো দিন নির্বাচন পর্যবেক্ষক নেয়না।

বলেন, দল দুটির এমন সুপারিশ করার কথা ছিল না। উল্টো মাতব্বরির মানসিকতা স্পষ্ট হয়ে উঠল।

ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, “তারা যে কারণে আসলেন সেটা বলেননি, উল্টো কিছু মাতব্বরি করে গেছেন। জনগণ যদি ভোট দেয় জনগণ যদি নির্বাচনে আসে সেটাই যথেষ্ট। আমরা বিদেশের উপর নির্ভরশীল নই।”

সমালোচনা করেন, এসব বিষয় গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রচার করার বিষয়েও। এতে করে, বিদেশিরা অনুপ্রাণিত হয় বলেও মন্তব্য মোমেনের।

তিনি বলেন, দ্বিপাক্ষিকে আলোচনার জন্যে সেই ফাকে কেউ কেউ নির্বাচনের কথা জিজ্ঞেস করেন। তাতে তারা খুব মজা পান যে বাংলাদেশের মিডিয়া তাদেরকে খুব পাত্তা দেয়। আপনাদের কারণেই তারা সুবিধা নিয়ে থাকে।”

পর্যবেক্ষকের প্রয়োজন নেই। দেশের জণগণ ভোট দিলে এমনিতেই এর গ্রহণযোগ্যতা আসবে বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দুনিয়ার অধিকাংশ দেশে নির্বাচন পর্যবেক্ষক বলতে কিছু নাই। কিন্তু সে দেশগুলো ভালো চলতেছে।

শেয়ার করুণ

Comments are closed.