টপ পোষ্ট

বাজার অস্থিরতার পেছনে সিন্ডিকেটের কারসাজি

0

নিত্যপণ্যের বাজার অস্থিরতার পেছনে সিন্ডিকেটের কারসাজি দেখছেন বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, কৃষক এবং ভোক্তা পর্যায়ে ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরকে আরও শক্তিশালী করা প্রয়োজন।

দেশে পেঁয়াজের চাহিদা বছরে ২৮ লাখ টন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্য বলছে, ২০২১-২২ অর্থবছরে উৎপাদন হয়েছে ৩৬ লাখ টন। তাই কৃষককে সুরক্ষা দিতে ১৫ মার্চ থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ করে দেয় সরকার। কিন্তু এর সুযোগ নেয় একটি চক্র। পেঁয়াজের কেজি ঠেকে ১০০ টাকায়। ফের আমদানির ঘোষণার পরপরই কমে যায় দাম।

একই চিত্র কাঁচামরিচে। ৮০০ থেকে হাজার টাকার কেজি দরে কাঁচামরিচ আমদানির সিদ্ধান্তে পর দিনই হয়ে যায় ২০০ টাকায়। বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, কৃষককে সুরক্ষা দেয়ার সরকারি উদ্যোগের সুযোগ নিয়েছে একটি চক্র। KSRM
অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, “১০-১২ জন বা ২০ জন যদি মেজর ইম্পোর্টার হয় তাহলে তারাই মূল্য নির্ধারিত করে থাকে।”

কনজিউমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ সভাপতি গোলম রহমান বলেন, “ভোক্তা এবং কৃষক, এদের মাঝখানে আছে ব্যবসায়ী। যারা মাঝখানে আছে তাদের লাভের প্রবনতাটা বেড়ে গেছে।”

বাজার নিয়ন্ত্রণে আছে প্রতিযোগীতা কমিশন, আছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। তবে এসব প্রতিষ্ঠানগুলো এখনও যথেষ্ট শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারেনি বলে মত তাদের।

অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, “কমিশনকে নিয়ে আমরা অনেক আশাবাদী ছিলাম। কিন্তু কমিশনকে নির্জীব করে রাখা হয়েছে।”

গোলম রহমান বলেন, “ভোক্তার স্বার্থ বাজার দেখবে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে। আর সরকার দেখবে নানা ধরনের রুলস রেগুলেশনস তৈরি করে কার্যকরি করার মধ্য দিয়ে।”

কোন পণ্যের ব্যবসাই যাতে গুটিকয়েক ব্যবসায়ীর হাতে জিম্মি হয়ে না পড়ে সেজন্য সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে বলেও মত তাদের।

শেয়ার করুণ

Comments are closed.