টপ পোষ্ট

বড় জয়ের রেকর্ড গড়ল বাংলাদেশ

0

মিরপুর টেস্টে ইতিহাস গড়ে আফগানিস্তানকে হারালো বাংলাদেশ। নাজমুল-মুমিনুল-লিটনদের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে স্বাগতিকদের দেয়া ৬৬২ রানের পাহারসমান লক্ষ্যে মাত্র ১১৫ রানেই অল-আউট আফগানিস্তান। দুই ইনিংস মিলিয়ে ১৪ উইকেটই নিয়েছে পেসাররা। ৫৪৬ রানে জিতেছে লিটনদের দল। টাইগারদের ইতিহাসে যেটা সর্বোচ্চ।

তাসকিনের বলে শেষ পর্যন্ত আঘাত পেয়ে রিটায়ার্ড আউট হলেন জহির খান। এতেই জয় নিশ্চিত হলো টাইগারদের। শুধু রানের হিসেবে টেস্ট ইতিহাসের তৃতীয় বৃহত্তম ও নিজেদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বড় জয়ের রেকর্ড গড়লো বাংলাদেশ।

৬৬২ রানের বিশাল টার্গেট দিয়ে তৃতীয় দিনে আফগানদের দুই উইকেট নিয়ে জয়ের সুবাস পাচ্ছিলো বাংলাদেশ। চতুর্থ দিনে এসেও টাইগার পেসারদের কাছে নাজেহাল আফগান ব্যাটিং লাইন।KSRM
এদিন বাংলাদেশকে প্রথম সাফল্য এনে দেন এবাদত হোসেন। ৬ রান করা নাসির জামালকে ফেরান তিনি। জামালের সমান ৬ রানে বিদায় নেন আফসার জাজাই। তার উইকেটটি নেন শরিফুল ইসলাম।দলীয় ২১তম ওভারে দৃশ্বপটে আবরো শরিফুল, বাহির শাহকে ৭ রানে বিদায় করেন তিনি।

এরপর শুরু হয় তাসকিন ম্যাজিক। প্রথম ইনিংসে ব্যর্থ হলেও দ্বিতীয় ইনিংসে এসে ভেলকি স্বরুপে ফিরলেন ঢাকা এক্সপ্রেস। ৭ রানের ব্যবধানে রহমত শাহ ও করিম জানাতকে ফেরান তাসকিন।

আমির হামজাকে ফিরিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে টাইগারদের একমাত্র স্পিনার হিসেবে উইকেটের দেখা পেয়েছেন মেহেদি হাসান মিরাজ।

ইয়ামিন আহমেদজাইয়েকে ১ রানে ফিরিয়ে ইনিংসে নিজের চতুর্থ উইকেটের তুলে নেন তাসকিন। এই তাসকিনের বলে দুইবার রিভিউ নিয়ে বাঁচলেও শেষ পর্যন্ত আঘাত পেয়ে ফেরেন জহির খান।

পুরো ম্যাচে বাংলাদেশের পেসারদের শিকার ১৪ উইকেট। যা এক ম্যাচে বাংলাদেশি পেসারদের সর্বোচ্চ উইকেটের রেকর্ড। গত বছর মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে পেসাররা নিয়েছিল ১৩ উইকেট।

টেস্টে রানের হিসাবে বাংলাদেশের চেয়ে বড় ব্যবধানে জয় আছে আর মাত্র দুটি। ১৯২৮ সালে অস্ট্রেলিয়াকে ৬৭৫ রানে হারিয়েছিল ইংল্যান্ড। এর ছয় বছর পর ইংল্যান্ডকে ৫৬২ রানে হারায় অজিরা। তালিকার চতুর্থ স্থানেও আছে অস্ট্রেলিয়ার নাম। ১৯১১ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৫৩০ রানে জিতেছিল তারা।

যাদুকরি পারফরম্যান্সে ম্যাচসেরার পুরষ্কার পেয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত।

শেয়ার করুণ

Comments are closed.