মঙ্গল শোভাযাত্রাসহ বর্ণিল আয়োজনে সারাদেশে বরণ করে নেয়া হচ্ছে বাংলা নববর্ষকে। পুরোনো দিনের সকল জরাজীর্ণকে পেছনে ফেলে নতুন দিনের প্রত্যাশা ছিলো বাঙালির প্রাণের এ উৎসবে।
মঙ্গল শোভাযাত্রা করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। ডিসি হিল চত্বরের মুক্তমঞ্চে বর্ষবরণের আয়োজন করে ৩২টি সাংস্কৃতিক সংগঠন।
সিলেটে জেলা প্রশাসন প্রাঙ্গণ থেকে বের হওয়া মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশ নিয়ে সম্প্রীতি এবং অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রত্যাশা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। নানা আয়োজন ছিল বিভিন্ন সংগঠনেরও।
বরিশালেও বের হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা। ছিলো চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও প্রদর্শনীসহ লোকজ অনুষ্ঠানমালাও।
খুলনায় মঙ্গল শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, উদীচীসহ বিভিন্ন সংগঠনও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ র্যালি করেছে।
ময়মনসিংহ নগরীর তাজমহল মোড়ে মঙ্গল শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন গৃহায়ন প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ এমপি। জয়নুল পার্ক এলাকায় বসেছে বৈশাখী মেলা।
বেলুন ওড়ানো ও বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শেষে রংপুর জিলা স্কুলের বটতলায় বসে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, নৃত্য ও কবিতা পাঠের আসর।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগে হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট ও রাজশাহী কলেজ বের করে মঙ্গল শোভাযাত্রা।
উৎসবমুখর আয়োজনে ১৪৩০ বঙ্গাব্দের প্রথম দিনটি উদযাপিত হচ্ছে বাগেরহাট, বান্দরবান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ফেনী, গাজীপুর, জয়পুরহাট, ঝিনাইদহ, কুড়িগ্রাম, মেহেরপুর, মাগুরা, কালকিনি, পটুয়াখালী, মৌলভীবাজার, পিরোজপুর, নেত্রকোণা, নরসিংদী, নাটোর, নওগাঁ, হিলি, মাদারীপুর ও রাঙ্গামাটিতেও।