টপ পোষ্ট

রাজনৈতিক দলে জায়গা পাবে না ঋণখেলাপিরা, নতুন আইন

0

পারিবারিক কর্তৃত্ব কমানোর পাশাপাশি ইচ্ছাকৃত-খেলাপিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ থাকায় সংশোধিত ব্যাংক কোম্পানি আইনের খসড়াকে ইতিবাচক বলছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে আইনটির সাফল্য নির্ভর করবে এর স্বাধীন ও সঠিক প্রয়োগের ওপর বলে মত তাদের।

উন্নয়ন সহযোগীদের পরামর্শ ও সরকারের সংস্কারমুখী নীতির কারণে ফের সংশোধন হচ্ছে ব্যাংক কোম্পানি আইন।

মঙ্গলবার মন্ত্রিসভায় সংশোধিত ব্যাংক কোম্পানি আইন-২০২৩ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছে। যেখানে ইচ্ছেকৃত ঋণখেলাপিদের বিদেশ ভ্রমণ, গাড়ি ও কোম্পানির নিবন্ধনে নিষেধাজ্ঞার বিধান থাকছে। এছাড়া ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের রাজনৈতিক দলের কমিটিতে অন্তর্ভূক্ত হওয়ারও সুযোগ থাকছে না।

এছাড়া বিদ্যমান আইনে একই পরিবার থেকে চারজন পর্যন্ত পরিচালক হওয়ার সুযোগ থাকলেও সংশোধিত আইনে তা কমিয়ে সর্বোচ্চ তিনজন করা হয়েছে। সঙ্গে জামানত ছাড়া পরিচালকদের ঋণেও থাকছে নিষেধাজ্ঞা।

খসড়াটিকে ঋণখোলাপি ও ব্যাংকখাতের অনিয়মের বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর অবস্থান হিসেবেই দেখছেন অর্থনীতিবিদরা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “মোটাদাগে বললে এটা ভালো উদ্যোগ ব্যাংকিং আইনে। উল্লেখযোগ্য হলো পরিবারের সংখ্যা ৪ থেকে ৩ করা, আমার মনে এটা ২ রাখা উচিত ছিল। ৬ বছর ৯ বছর নয় ৩ বছর থাকবে।”

স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ঋণ নেয়ার পর সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও ঋণের অংশ বা সুদ পরিশোধ না করলেও গ্রহিতা ইচ্ছাকৃত-খেলাপি হিসেবে চিহ্নিত হবেন। আইনের এই বিধানকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন অর্থনীতিবিদরা।

ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “খুবই ভালো, তবে বাস্তবায়ন করা কঠিন। ফাঁকফোকর দিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, তবুও যদি যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা এটা ভালো হবে। ইচ্ছাকৃতভাবে ঋণ নেওয়াটা কমে যাবে।”

তবে সংশোধিত ব্যাংক কোম্পানি আইন পাস হলে তার সঠিক ও নিরপেক্ষ প্রয়োগ জরুরি বলছেন তারা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আরও বলেন, “খুঁটিনাটি আরও কিছু ব্যাপার আছে, এগুলো ঠিক করতে হবে।”

সংশোধিত ব্যাংক কোম্পানি আইনের খসড়া অনুযায়ী খেলাপিদের তালিকা জমা না দিলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক জরিমানার মুখোমুখি হবে।

শেয়ার করুণ

Comments are closed.