টপ পোষ্ট

ফেইসবুক মেসেঞ্জারেও নজরদারি!

0

ফেইসবুক মেসেঞ্জারে পাঠানো বার্তাকে আপনি গোপন ভাবতে পারেন, কিন্তু আসলে সেটিও গোপন নয়। মেসেঞ্জারে পাঠানো বার্তায়ও নজরদারি করে ফেইসবুক। ৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ফেইসবুক কর্তৃপক্ষ বিষয়টি স্বীকার করেছে বলে খবর দিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।

ফেইসবুক জানিয়েছে, ইনবক্সের মাধ্যমে কোনো ম্যালওয়ার বা শিশু পর্নোগ্রাফি ছড়াচ্ছে কিনা তা নজরদারি করতে তারা স্বয়ংক্রিয় টুল ব্যবহার করে। এছাড়া কোনো ব্যবহারকারী যদি তার ইনবক্সের বার্তাকে ফেইসবুকের নীতিমালার বাইরের বলে মনে করে, তাহলে তিনি সেটি রিপোর্টও করতে পারেন।

ফেইসবুকের মডারেটররা স্বয়ংক্রিয় টুল বা ব্যবহারকারীর রিপোর্ট করা বার্তাগুলো যাচাই করে।

ফেইসবুক সবসময়ই বলে আসছে তাদের নীতিমালার বাইরে যায়, এমন পোস্ট তারা যাচাই বাছাই করে দেখে। কিন্তু এতদিন ব্যবহারকারীরা মনে করতো তাদের ইনবক্সের মতো ব্যক্তিগত জায়গায় কেউ নজরদারি করছে না।

এক বার্তায় ফেইসবুক জানিয়েছে, গ্রাহকদের ইনবক্স গোপন রাখা ফেইসবুকের দায়িত্ব। কিন্তু নিজেদের সিদ্ধান্ত সমর্থন করে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামাজিক নেটওয়ার্কিং সাইটটি দাবি করছে, তারা যেসব টুল ব্যবহার করছে, সেগুলো ‘অন্যান্য ইন্টারনেট কোম্পানির ব্যবহুত টুলের মতোই’।

ফেইসবুকের একজন মুখপাত্র বলেন, ‘গ্রাহকদের ব্যক্তিগত মেসেজ বিজ্ঞাপণ প্রদর্শনের কাজে ব্যবহার করা হয় না। আমরা গ্রাহকের ভিডিও ও অডিও কল শুনি না।’

গত সোমবার সংবাদমাধ্যম ভক্সকে দেওয়া এক স্বক্ষাৎকারেও এটি স্বীকার করেন ফেইসবুকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জাকারবার্গ। ওই স্বাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ‘ইনবক্সে সন্দেহজনক বা নীতিমালা বহির্ভূত কিছু দেখলে আমরা সেটি হতে দেব না। ‘

কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা নামের একটি তথ্য বিশ্লেষণী প্রতিষ্ঠান ফেইসবুকের প্রায় ৯ কোটি গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্য রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করেছে, এমন অভিযোগ ওঠার পর থেকে বিশ্বব্যাপী কঠোর সমালোচনার মধ্যে পড়েছে ফেসবুক। ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা ২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের হয়ে কাজ করে এবং অভিযোগ আছে, প্রতিষ্ঠানটি প্রায় ৯ কোটি গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্য ব্যবহার করে তাদের মতামতকে ট্রাম্পের দিকে ঘুরিয়ে দিয়েছে, যেটি ট্রাম্পের বিজয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে।

এ ঘটনা সামনে আসার পর থেকে ফেইসবুক তার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় আস্থার সংকটে পড়েছে।

ফেইসবুকের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগের শেষ নেই। ভুয়া সংবাদ ও ধর্মীয় সন্ত্রাস ছড়ানোর জন্য অনেকেই ফেইসবুককে দায়ি করেছেন। মিয়ানমারে সংখ্যালঘু মুসলমানদের বিরুদ্ধে সেখানকার সংখ্যাগুরু বৌদ্ধদের প্রভাবিত করার পেছনে অনেকেই ফেইসবুকের অবদানকে বড় করে দেখছেন।

শেয়ার করুণ

আপনার মন্তব্য দিন