টপ পোষ্ট

২৫ বছরেও উন্মোচন হয়নি দিব্যার মৃত্যু রহস্য

0

দিব্যার আগমনেই নব্বইয়ের দশকে বলিউডে পরিবর্তনের হাওয়া লেগেছিল। অল্প সময়ের মধ্যে কিভাবে দর্শকদের হৃদয়ে ঠাই পেতে হয় সেটাই দেখিয়ে দিয়ে ছিলেন এই বলিউড সুন্দরী। মাত্র ১৬ বছর বয়সে তামিল সিনেমা ববি রাজায় কাজ করেন। এরপর তিনি আর পেছন ফিরে তাকাননি। সেই সময় শোলা অর শাবনাম, দিল আসান হে, দিওয়ানার মতো সুপারহিট সিনেমার মাধ্যমে সফলতা পেয়েছেন। কিন্তু মাত্র ১৯ বছর বয়সে রহস্যময়ভাবে তার মৃত্যু হয়।

৫ এপ্রিল, ১৯৯৩ সালের রাতটি ছিল দিব্যা ভারতীর শেষ রাত। দিব্যার মৃত্যু মুম্বাইয়ের বারসোভার পাঁচ তলা বিল্ডিং থেকে পড়ে যাওয়ার ফলে হয়। কয়েকজন মনে করেন এটা আত্মহত্যা। আবার অনেকের মতে ষড়যন্ত্র করে তাকে মেরে ফেলা হয়েছে। তবে মুম্বাই পুলিশ এই ক্ষেত্রে প্রমাণ সংগ্রহ করতে সফল হননি। ১৯৯৮ সালে এই মামলা বন্ধ করে দেওয়া হয়। আজ ২৫ হলো কিনারা হয়নি এই মৃত্যুর।

 যারা পুরো বিষয়টিকে ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখেছিলেন তাদের মতে স্বামী সাজিদ নাদিয়াডওয়ালার ওপর আঙুল তুলছিল। আন্ডারওয়াল্ডের সাথে মামলাটি জুড়ে দেখা হচ্ছিল। যদিও অন্য তত্ত্ব হলো সাজিদ নাদিয়াডওয়ালার সাথে দিব্যার সম্পর্ক এবং ফিল্মে অপ্রত্যাশিত সাফল্য তাকে তার মা-বাবার থেকে দূরে নিয়ে গিয়েছিল। এই কারণে তিনি হতাশ হয়ে আত্মহত্যা করে নেন। দিব্যা ভারতীর মৃত্যুর বিষয়টি এখনও রহস্য।

বলা হয়, যে রাতে এই ঘটনা হয়েছিল সেই দিন দিব্যা ভারতী নিজের জন্য একটি ফ্ল্যাট কিনেছিলেন। একদিন আগে, তিনি চেন্নাই শুটিং শেষ করে ফিরে আসেন। কিন্তু ফ্ল্যাট কেনার কারণে সেইদিন শ্যুটিং বাতিল করে দেন। এটাও বলা হয় যে পায়ের চোটের কারণে তিনি শুটিং করেননি। রিপোর্ট অনুযায়ী সেই দিন দিব্যা ভারতী ডিজাইনার নীতা লুল্লা এবং তার স্বামীর সাথে ভার্সোভার ফ্লাটে সাক্ষাত্ করতেন।

নীতা লুল্লা তার স্বামীর সাথে রাত ১০টায় দিব্যার ফ্ল্যাটে পৌছান। নীতা বসার ঘরে বসে ছিলেন এবং কথা বলছিলেন। তখন দিব্যা রান্নাঘরে চলে যান। সেই সময় নিতা এবং তার স্বামী টিভিতে একটি ভিডিও দেখতে ব্যস্ত হয়ে যান।

দিব্যার বসার ঘরে কোনও বারান্দা ছিল না। শুধুমাত্র একটি বড় জানালা ছিল। দুর্ভাগ্যবশত এই জানলাতে কোনও গ্রিল ছিল না এবং নীচে গাড়ি পার্কিং এর জায়গা ছিল। বলা হয় যে রান্নাঘর থকে আসার পর দিব্যা সেই জানলার পাতলা দেওয়ালের ওপর বসে পড়েন। কিন্তু ভারসাম্য হারানোর কারণে তিনি পড়ে যান।

এত উঁচু থেকে পড়ে যাওয়ার পর রক্তাত্ত অবস্হায় পার্কিং এলাকায় পড়েছিলেন। দ্রুত তাকে মুম্বাইয়ের কুপার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

শেয়ার করুণ

আপনার মন্তব্য দিন