টপ পোষ্ট

বায়ুদূষণ কমাতে পরিকল্পনা দাখিলের নির্দেশ

0

বায়ুদূষণ কমাতে পরিকল্পনা দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাই কোর্ট। এর জন্য সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে ৪ মাস। পাশাপাশি সবচেয়ে দূষিত এলাকা চিহ্নিত করা ও ইট পোড়ানোর বিকল্প ব্যবস্থা বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও এস এম মনিরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চ্যুয়াল হাই কোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন। বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) বায়ুদূষণ রোধে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে এ রিট করে।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস।

আইনজীবী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, উপযুক্ত স্থানে বায়ুর মান পর্যবেক্ষণে ব্যবহৃত কন্টিনিউয়াস এয়ার মনিটরিং স্টেশন (সিএএমএস) বসানো এবং বিপজ্জনক ও অস্বাস্থ্যকর বায়ু থেকে জনগণকে রক্ষা করতে অ্যালার্ট পদ্ধতি প্রবর্তন করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ ছাড়া ইট পোড়ানোর বিকল্প পদ্ধতির উন্নয়ন ও কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এ আইনজীবী আরও জানান, নির্দেশনা বাস্তবায়ন বিষয়ে বিবাদীদের চার মাসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। আগামী ২৬ জুন পরবর্তী আদেশ দেবেন আদালত।

গেল কিছুদিন ধরেই ঢাকার বায়ুর মান যারপরনাই দূষিত। অস্বাস্থ্যকর এমন পরিবেশে শিশু থেকে বয়োজ্যেষ্ঠ সবারই ত্রাহি অবস্থা। পরামর্শ দেয়া হয়েছে, বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার।

২০২২ সালের জানুয়ারির কথাই ধরি। ২০ দিনের মধ্যে ১১ দিনই বিশ্বের বায়ুদূষণের শীর্ষ তালিকায় ছিল ঢাকা শহর। এমন পরিস্থিতিতেও কোনোরকম স্বাস্থ্য সতর্কতা ছাড়াই নগরবাসী স্বাভাবিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। সেবন করছে দূষিত বায়ু।

বিগত ৬ বছরে সর্বমোট ৩৮ দিন বিশুদ্ধ বাতাস পাওয়া গেছে। সেই অর্থে বছরে ৭ দিনেরও কম বিশুদ্ধ বায়ু সেবন করতে পারছে নগরবাসী। বায়ুদূষণ পরিস্থিতিতে প্রতিবেশী ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ জরুরি স্বাস্থ্য সতর্কতা জারি করেছিল।

শেয়ার করুণ

Comments are closed.