লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে এক মৌসুমে সর্বোচ্চ ৩৬ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড গড়লেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। ১৫ ম্যাচ খেলে এই মৌসুমে সর্বোচ্চ উইকেট নিলেন ম্যাশ। এর আগে ১৪ ম্যাচে ৩৫ উইকেট নিয়ে আবু হায়দার রনির ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছিলেন আবাহনীর অভিজ্ঞ এই পেসার।
চলমান ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের (ডিপিএল) সুপার লিগের ম্যাচে খেলাঘরের বিপক্ষে মাঠে নেমেছে মাশরাফির আবাহনী। ম্যাচে বোলিংয়ে এসে এক উইকেট নেওয়ার মধ্যদিয়ে এই রেকর্ড গড়লেন ম্যাশ। মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে সুপার সিক্সের চতুর্থ রাউন্ডে রেকর্ডটি এককভাবে নিজের করে নিতে মাত্র ১টি উইকেট দূরে ছিলেন ‘নড়াইল এক্সপ্রেস’। খেলাঘরের ওপেনার রবিউল ইসলাম রবিকে সাজঘরে ফিরিয়ে দেওয়ার মধ্যদিয়ে এই রেকর্ড নিজের করে নেন মাশরাফি।
লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে এক আসরে সর্বাধিক ৩৫ উইকেটের রেকর্ড গত আসরে গড়েছিলেন গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বাঁহাতি পেস বোলার আবু হায়দার রনি। ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের এক আসরে সেটাই ছিল এতদিন পর্যন্ত সেরা সাফল্য।
লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারে ২৫৭তম ম্যাচ খেলতে নামেন মাশরাফি। এই ম্যাচে নামার আগেই তার ঝুলিতে ছিল ৩৬৪ উইকেট। ছিল ২৬ রানে ৬ উইকেট নেওয়ার কীর্তিও। ৫ উইকেট করে নিয়েছেন পাঁচবার আর চার উইকেট করে নিয়েছেন ১২ বার। কীর্তি গড়ার ম্যাচে নিজের পঞ্চম ওভারেই ওপেনার রবিউলকে ফিরিয়ে তুলে নেন ৩৬তম উইকেট।
এর আগে এই লিগেই গত মাসে ৪ বলে ৪ উইকেট নিয়ে পুরো ক্রিকেট বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন মাশরাফি। ক্রিকেটের ভাষায় যাকে বলে ‘ডাবল হ্যাটট্রিক’! অগ্রণী ব্যাংকের বিপক্ষে টানা ৪ বলে ৪ উইকেট নিয়ে এই অবিশ্বাস্য কীর্তিটা গড়েন বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক। স্বীকৃত ক্রিকেটে এমন ঘটনা খুবই বিরল।
ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগকে আইসিসি লিস্ট ‘এ’ মর্যাদা দিয়েছে ২০১৩ সালে। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে ২০১৩-১৪ মৌসুমে গাজী ট্যাংক ক্রিকেটার্সের আরাফাত সানি ও ফরহাদ রেজা ২৯ উইকেট নিয়ে রেকর্ড গড়েছিলেন। ২০১৪-১৫ মৌসুমে প্রাইম দোলেশ্বরের বাঁহাতি স্পিনার ইলিয়াস সানির ছিল ৩১ উইকেট। ২০১৬ সালে ভিক্টোরিয়ার শ্রীলঙ্কান স্পিনার চতুরঙ্গ ডি সিলভার ছিল ৩০ উইকেট। ২০১৭ সালে প্রাইম দোলেশ্বরের বাঁহাতি স্পিনার আরাফাত সানি নিয়েছিলেন ৩৪ উইকেট। ২০১৭ সালে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের আবু হায়দার রনির ৩৫ উইকেটের রেকর্ড ভেঙে এবার এক মৌসুমে ৩৬ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন মাশরাফি।
