টপ পোষ্ট

রিয়ালকে হারিয়ে সেরা অঘটন শেরিফের

0

ইউরোপের সব চেয়ে দরিদ্র দেশ। যাকে বলা হয় ‘অপরাধ জগতের কারখানা’। বিশ্ব চেনে চোরাচালান আর পাচার কার্যের আখড়া হিসেবে। আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃতি নেই যার। প্রাক্তন কেজিবি এজেন্ট পরিচালিত ক্লাব। যাদের জেতার সম্ভাবনা ছিল মাত্র ১.৪ শতাংশ। তারাই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে সব চেয়ে বড় অঘটনগুলোর একটি ঘটিয়ে দিল।

লিয়োনেল মেসির নতুন ক্লাবের হয়ে প্রথম গোল নিয়ে মাতামাতির মধ্যেই আর্জেন্টিনীয় তারকার এতকালের প্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদকে তাদের ঘরের মাঠে স্তব্ধ করে দিল ২-১ ফলে। লিভারপুল ৫-১ হারাল পোর্তোকে। আতলেতিকো দে মাদ্রিদ ২-১ জিতল এসি মিলানের বিরুদ্ধে। বরুসিয়া ডর্টমুন্ড ১-০ হারাল স্পোর্টিং লিসবনকে। কিন্তু যাবতীয় চর্চা মেসি আর তাদের নিয়ে।

সারা দিন ধরে ফুটবল দুনিয়ায় সকলের মুখে এই প্রশ্ন। এফসি শেরিফ তিরাসপোল— কারা তারা? সংক্ষেপে উত্তর হচ্ছে, মলডোভার একটি ক্লাব, যাদের পুরো দলের মূল্য ১২ মিলিয়ন ইউরো (প্রায় ১০৩ কোটি)। যা রিয়ালের মাঝারি দরের ডিফেন্ডার দাভিদ আলাবার একার বার্ষিক বেতনের সমান। যাদের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্বে খেলতে আসাটাই ছিল এক নজির। দু’টি অসাধারণ গোল করে ‘জায়ান্টকিলার’ হয়ে ফিরল। ইয়াকশিবোয়েভ এবং সেবাস্তিয়ান থিল গোলদাতা। তৃতীয় গোলও করেছিল কিন্তু অফসাইডের জন্য নাকচ হয়।

‘‘আমরা জিততে এসেছিলাম,’’ শেরিফের অধিনায়ক ফ্রাঙ্ক কাস্তানেদা বলে চলেন, ‘‘ঘুরতে আসিনি। দলে ভাল ফুটবলার রয়েছে। আমরা সুযোগ কাজে লাগাতে পেরেছি, রিয়াল পারেনি।’’ এ ভাবে গর্বের সঙ্গে নিজের মত প্রকাশ করেন অধিনায়ক।

৮৯তম মিনিটে থ্রো ইনে ডি-বক্সে বল পান আদামা ত্রাওরে। তিনি খুঁজে নেন ডি-বক্সের বাইরে অরক্ষিত থিলকে। তার বুলেট গতির শট দূরের পোস্ট ঘেঁষে জড়ায় জালে। ঝাঁপিয়েও বলের নাগাল পাননি কোর্তোয়া।

ছয় মিনিট যোগ করা সময়ের শেষ মুহূর্তে বেনজেমার সামনে সুযোগ এসেছিল আবার সমতা ফেরানোর। কিন্তু ডি-বক্সের বাইরে থেকে ফরাসি ফরোয়ার্ড গোলরক্ষক বরাবর শট নিয়ে দলকে হতাশ করেন।

২ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে শেরিফ। ৩ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে রিয়াল।

দিনের অন্য ম্যাচে গোলশূন্য ড্র করা ইন্টার মিলান ও শাখতার দোনেৎস্ক আছে পরের দুটি স্থানে। তাদের পয়েন্ট ১ করে।
সূত্র : আনন্দবাজার

শেয়ার করুণ

Comments are closed.