টপ পোষ্ট

দুই পাশে অস্ত্র, মাঝখানে অসহায় রোহিঙ্গারা

0

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তমব্রু পয়েন্টের বাংলাদেশ-মিয়ানামার সীমান্তে গত দুই দিন ধরেই উত্তেজনা চলছে। মুখোমুখি অবস্থায় রয়েছে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী। মিয়ানমারের পক্ষ থেকে সীমান্তে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করায় সতর্ক অবস্থান নিয়েছে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীও। উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মুখোমুখি এই অবস্থানের মধ্যে অসহায় হয়ে পড়েছে নো-ম্যানস ল্যান্ডে অবস্থানকারী রোহিঙ্গারা। সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারী বাংলাদেশিদের মধ্যেও এখন আতঙ্ক বিরাজ করছে।

তমব্রু নো-ম্যানস ল্যান্ডে অবস্থান নেওয়া রোহিঙ্গারা বলেন, রাতে কাঁটাতারের বেড়ায় মই দিয়ে নো-ম্যানস ল্যান্ডে প্রবেশের চেষ্টা চালায় মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি)। কিন্তু রোহিঙ্গাদের চিৎকারের কারণে তারা প্রবেশ করতে পারেনি। পরে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে মিয়ানমারের ভেতরে চলে যায় তারা। এরপর রাতভর নীরব থাকলেও আজ শুক্রবার সকাল থেকে আবারও সমবেত হতে দেখা গেছে তাদের।

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সঙ্গে পতাকা বৈঠকের অপেক্ষায় রয়েছে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) ও স্থানীয় প্রশাসন। তবে বিজিপি ওই পতাকা বৈঠকে সাড়া দেবে কিনা সেটা নিশ্চিত করতে পারেননি পতাকা বৈঠকের জন্য সীমান্তে অবস্থানরত বান্দরবানের জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর রাখাইন রাজ্য থেকে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে পালিয়ে আসে ৭ লাখের বেশি রোহিঙ্গা। পরে আসে আরও ৪ লাখের বেশি রোহিঙ্গা। প্রায় ১১ লাখের মধ্যে ইতিমধ্যে ১০ লাখ ৭৬ হাজার রোহিঙ্গার বায়োমেট্রিক নিবন্ধন হয়েছে।

বাংলাদেশের তরফ থেকে গত মাসে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরুর আশা করা হলেও মিয়ানমারের নানা রকম শর্তের মুখে শুরু করা যায়নি এই প্রক্রিয়া। বর্তমানে রোহিঙ্গাদের পরিবারভিত্তিক তালিকা তৈরির কাজ চলছে। তবে থামছে না রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ। প্রত্যাবাসন চুক্তির পরেও প্রায় ৭০ হাজার রোহিঙ্গা ঢুকেছে।

শেয়ার করুণ

আপনার মন্তব্য দিন