টপ পোষ্ট

ট্রান্সশিপমেন্টের ভারতীয় পণ্যের প্রথম চালান চট্টগ্রাম বন্দরে 

0

চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করে ভারত থেকে দেশটির উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় অঞ্চলে পণ্য পরিবহনের পরীক্ষামূলক প্রথম চালান এসে পৌঁছেছে।

মঙ্গলবার ভোর রাতে পণ্যবাহী চারটি কন্টেইনার নিয়ে বাংলাদেশশি জাহাজ এমভি সেঁজুতি চট্টগ্রাম বন্দরের বর্হিনোঙ্গরে এসে পৌঁছায় বলে জানান সচিব ওমর ফারুক।

তিনি বলেন, জাহাজটিতে মোট ২২১ কন্টেইনার পণ্য এসেছে। জোয়ারের ওপর নির্ভর করে বেলা ১২ থেকে সাড়ে ১২টা নাগাদ বন্দরের এনসিটি-১ জেটিতে জাহাজটি ভিড়বে।”

রোববার ভারতের হলদিয়ার শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বন্দর থেকে পণ্য নিয়ে জাহাজটি কলকাতা ছাড়ে চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্দেশ্যে।

জাহাজটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট বলেন, কন্টেইনারগুলোতে টিএমটি বার ও ডালজাতীয় পণ্য রয়েছে।

“কন্টেইনার খালাসের পর ট্রেইলরযোগে এসব কন্টেইনার সড়কপথে আখাউড়া সীমান্ত হয়ে ভারতের ত্রিপুরায় যাবে।”

ভারত থেকে দেশটির এক এলাকা থেকে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দর এবং সড়কপথ ব্যবহার করে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে পণ্য পরিবহনের পরীক্ষামূলক প্রথম চালান হচ্ছে এটি।

বিভিন্ন পর্যায়ে মাশুল ও বন্দরের ট্যারিফ পরিশোধের পর জাহাজ থেকে খালাসের পর কন্টেইনার চারটি ট্রেইলরে করে আখাউড়া সীমান্তে নিয়ে যাওয়া হবে। কন্টেইনার চারটিতে ১০০ টনের মতো পণ্য রয়েছে।

চট্টগ্রাম বন্দর সচিব ওমর ফারুক বলেন, ২০১৮ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তির আওতায় পণ্যবাহী চারটি কন্টেইনারের ট্রায়াল রান উপলক্ষ্যে বন্দর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।বিদ্যমান বার্থিং নীতিমালা অনুযায়ী আগে আগে আসার ভিত্তিতে জাহাজ জেটিতে ভিড়বে।

তিনি বলেন, ভারতীয় পণ্য পরিবহনের ট্রায়াল রানের কন্টেইনার থাকলেও সাধারণ সময়ের মতোই জাহাজ বার্থিং দেয়া এবং কন্টেইনার খালাস করা হবে। এর জন্য আলাদা কোনো সুবিধা থাকবে না।

বন্দরের নির্ধারিত ট্যারিফ সিডিউল অনুযায়ী ‘পোর্ট ডিউজ,  পাইলটেজ ফিসহ আনুষাঙ্গিক ফি’ আদায় করা হবে।

চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর দিয়ে ভারতের উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলোতে পণ্য পরিবহনের জন্য ভারত ও বাংলাদেশের সচিব পর্যায়ে ২০১৮ সালের অক্টোবরে দিল্লিতে সচিব পর্যায়ে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। পরবর্তীতে দুই দেশের বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা এবং চুক্তির পর তা একটি পর্যায়ে আসে।

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্য গুলোতে পণ্য পরিবহনের জন্য বিভিন্ন পর্যায়ে সাত প্রকারের মাশুল নির্ধারণ করা হয়েছে। চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ এসব আদায় করবে। এছাড়া চট্টগ্রাম বন্দর  ব্যবহারের জন্য তারা ট্যারিফ পাবে।

এসব হল- প্রসেসিং মাশুল, ট্রান্সশিপমেন্ট মাশুল, নিরাপত্তা মাশুল, প্রশাসনিক মাশুল, এসকর্ট মাশুল, কন্টেইনার স্ক্যানিং মাশুল ও ইলেকট্রিক সিলের মাশুল। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) হিসেবে প্রায় ৪৮ ডলারের মতো মাশুল দাঁড়াবে।

এর বাইরে সড়কপথে কন্টেইনার পরিবহন এবং অন্যান্য পর্যায়ে অর্থ আদায় করা হবে।

শেয়ার করুণ

Comments are closed.