টপ পোষ্ট

কোভিড-১৯: সৌদিতে হিমঘরে লাশের স্তুপ

0

বৈশ্বিক করোনা মহামারিতে সৌদি আরবসহ বিশ্বের সব দেশের সাথে ফ্লাইট যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। আর এতে করেই সৌদিতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের লাশের স্তুপ জমা হচ্ছে হাসপাতালগুলোর হিমঘরে। যার পরিপ্রেক্ষিতে পরিবারের সম্মতি না পাওয়ায় স্থানীয়ভাবে দাফনও করা যাচ্ছে না এসব মরদেহ।

এদিকে সৌদিতে মারা যাওয়া প্রবাসীর লাশ বাংলাদেশে পাঠাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন সৌদি কর্তৃপক্ষ। লাশ স্থানীয়ভাবে সৌদি আরবেই দাফনের জন্য এক নির্দেশনা জারি করেছে সৌদি সরকার।

চলমান করোনা পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন ধরে বিমান চলাচল বন্ধ থাকায় লাশ সংরক্ষণকারী হিমাগারে স্থান সংকুলান হচ্ছে না। এমন কারণ দেখিয়ে এ নির্দেশনা জারি করেছে দেশটি।

কনস্যুলেটের একটি সূত্র জানায়, করোনা পরিস্থিতি চলাকালীন সময়ে স্বাভাবিক মৃত্যুবরণকারী প্রবাসীদের লাশ স্থানীয়ভাবে দাফনের জন্য তাদের পরিবারের সাথে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে।

প্রতিবছর সৌদি আরবে সাধারণত প্রায় দুই হাজার বাংলাদেশি বিভিন্ন কারণে যারা যান। বর্তমানে করোনায় গত মার্চ থেকে এখন পর্যন্ত অনেক প্রবাসী বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশই হ্নদরোগে। এমন অবস্থায় সৌদিতে হাসপাতালের হিমঘরে লাশ রাখার জায়গা হচ্ছে না।

করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে ফ্লাইট চালু হওয়া অনিশ্চিত। কবে নাগাদ বর্তমান এই পরিস্থিতি শেষ হবে সেটা অনুমান করতে পারছেন না কেউ। অন্যদিকে পরিবারের অনুমতি পত্রের অভাবে হিমঘরে লাশ জমে যাচ্ছে। তাই নিথর দেহগুলোকে স্থানীয়ভাবে দাফনের অনুমতি দিতে মৃতের পরিবারের প্রতি পরামর্শ দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

দেশটির নিয়মানুযায়ী, হাসপাতালের মর্গে একটি লাশ সর্বোচ্চ ৬০ দিন পর্যন্ত রাখা যায়। এ সময়ের মধ্যে লাশ দাফনের বিষয়ে কোনো সুরাহা না হলে দাফনের বিধান রয়েছে। বেওয়ারিশ লাশের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। তবে বর্তমানে সৌদির মর্গগুলোতে লাশ রাখার জায়গা নেই বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ মিশন সূত্র।

প্রবাসী বাংলাদেশিদের লাশ দাফন করতে রিয়াদ বাংলাদেশ দূতাবাস ও জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটের মতে যথাসময়ে পরিবারের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাওয়া গেলে যথাযথভাবে লাশটি দাফন করার সম্ভব হবে।

রিয়াদ বাংলাদেশ দূতাবাসের সূত্রে, গতবছরও রিয়াদ দূতাবাসের অধীক্ষেত্রাধীন এলাকায় মারা যাওয়া ৯৯৮ জনের মধ্যে মাত্র ১১৩ জনের মৃতদেহ ছাড়া সকলকে দেশে প্রেরণের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। বাকিগুলো পরিবারের আবেদনের ভিত্তিতে স্থানীয়ভাবে দাফন করা হয়েছিল। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি এখন ভিন্ন। তাই সকলকে পরিস্থিতি বিবেচনা করে দাফনের অনুমতি দেয়ার অনুরোধ করছে দূতাবাস ও কনস্যুলেট জেনারেল জেদ্দা।

রিয়াদ দূতাবাস ও জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ কনসুলেট সূত্র মতে, লাশ সৌদি আরবে স্থানীয়ভাবে দাফন হলেও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের তরফ হতে তিন লক্ষ টাকার আর্থিক সহায়তা পাবে দেশে থাকা পরিবারগুলো। অনেকেই এখানে দাফনের অনুমতি দিতে চান না আর্থিক অনুদান না পাওয়ার ভয় থেকে।

প্রবাসী বাংলাদেশিদের কেউ যদি সৌদিতে মারা যান তাদের আত্মীয়স্বজন বা পরিচিত যদি কেউ সৌদিতে অবস্থান করেন তাদের কে ওই সমস্ত পরিবারের প্রয়োজনীয় অনুমতিটি প্রেরণ করার জন্য দূতাবাস ও কনস্যুলেট অনুরোধ জানিয়েছেন।

রিয়াদ দূতাবাসের অনাপত্তি পত্র পেতে যে সমস্ত ডকুমেন্ট প্রয়োজন নমুনাসহ তার বিস্তারিত এই লিংকে- https://drive.google.com/openid=13hCaA5IUggdZiARMvc6UGz_RrJB9KVVX

বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল জেদ্দার অনাপত্তি পত্র পেতে যে সমস্ত ডকুমেন্ট প্রয়োজন নমুনা সহ তার বিস্তারিত এই লিংকে- https://drive.google.com/open?id=161_Qq5cTzQexR6Av4xfOPQeATNeiU2hD

স্থানীয় জেলা জনশক্তি অফিসের সকলের নাম্বার ও ইমেইলঃ https://drive.google.com/open?id=1MH1KkJhTjLDmDbK1es_nRVbpv7ftflsU

বাংলাদেশ দূতাবাস রিয়াদের সংশ্লিষ্ট ফোন নাম্বার সমূহঃ http://www.bangladeshembassy.org.sa/contactd.html

সৌদিআরবে কোন বাংলাদেশি মারা গেলে করণীয় জানতে এবং খবর জানাতে রিয়াদ দূতাবাসে- মোবাইলঃ +966570212180 (শুধুমাত্র মৃত্যু সংক্রান্ত বিষয়ে এই নাম্বারে কল করে কিংবা হোয়াটস আপে জানাতে পারেন। ডকুমেন্ট প্রেরণ করতে পারেন)
ইমেইলঃ deathinfo2015@gmail.com এ ইমেইল করতে পারেন।

জেদ্দা কনস্যুলেটে- মোবাইলঃ +966556221858 +966533147912 (শুধুমাত্র মৃত্যু সংক্রান্ত বিষয়ে এই নাম্বারে কল করে কিংবা হোয়াটস আপে জানাতে পারেন। ডকুমেন্ট প্রেরণ করতে পারেন)
ইমেইলঃ lwbcgjed@gmail.com এ ইমেইল করতে পারেন।

প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসমূহ প্রস্তুত করে বাংলাদেশ দূতাবাস রিয়াদে কিংবা জেদ্দা কনস্যুলেটে উপরোক্ত মোবাইল ফোনে হোয়াটস আপ মারফত কিংবা ইমেইলে প্রেরণ করতে পারেন। দূতাবাসে স্বশরীরে উপস্থিত হওয়ার প্রয়োজন নেই বলেও জানানো হয়।

শেয়ার করুণ

Comments are closed.