টপ পোষ্ট

বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত প্রায় ৩৩ লাখ, মৃত্যু প্রায় ২ লক্ষ ৩৩ হাজার

0

এখন পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণহানী করোনার শিকার বিশ্বের ৩৩ লাখের বেশি মানুষ। একইসঙ্গে দীর্ঘ হয়েই চলেছে স্বজনহারাদের মিছিল। যদিও, সুস্থ হয়েছে বিশ্বের সোয়া ১০ লাখের বেশি মানুষ। কিন্তু সংক্রমণের তুলনায় তা খুবই কম।

আজ শুক্রবার বাংলাদেশ সময় সকাল পর্যন্ত বিশ্বখ্যাত জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে প্রায় ৮৩ হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন।

এতে করে ভাইরাসটির কবলে পড়া মানুষের সংখ্যা ৩৩ লাখ ৪ হাজার ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই প্রায় ১১ লাখ।

অপরদিকে, আক্রান্তদের মধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন আরও অন্তত ৫ হাজার ৭শ জন। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে বিশ্বের ২ লাখ ৩৪ হাজার মানুষ না ফেরার দেশে চলে গেলেন। যার সবচেয়ে ভুক্তভোগী ইউরোপ ও আমেরিকা।

যদিও সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ১০ লাখ ৪২ হাজারেরও বেশি মানুষ। কিন্তু প্রতিনিয়ত যে হারে আক্রান্ত হচ্ছে, সে তুলনায় তা অত্যন্ত সীমিত।

করোনা সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা দাঁড় করিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে। দেশটিতে প্রতিদিন গড়ে ৩০ হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। গত একদিনেও তাই।

এতে করে সেখানে সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ লাখ ৯৫ হাজারে। বেড়েছে স্বজন হারাদের সংখ্যাও। এ সময়ে নতুন করে ২ হাজারেরও বেশি মানুষ পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছেন। যাতে মোট সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৬৩ হাজার ৭৫৫ জনে।

আক্রান্তের তুলনায় সুস্থ হওয়ার হার অনেক কম। তারপরও দেশটিতে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ১ লাখ ৫৫ হাজারের বেশি মানুষ। আক্রান্তদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় আরও ১৫ হাজার ২২৬ জন।

করোনা মৃত্যু উপত্যকা বানিয়েছে ইউরোপকে। যার ভয়াবহতায় কাঁপছে এ মহাদেশটি উন্নত রাষ্ট্রগুলো। তবে সেখানে ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণে আসতে শুরু করেছে ভাইরাসটির প্রকোপ। যার মধ্যে সবার শীর্ষে স্পেন।

দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনা হানা দিয়েছে ২ লাখ প্রায় ৪০ হাজার মানুষের ওপর। যাতে প্রাণ হারিয়েছেন সাড়ে ২৪ হাজারের বেশি মানুষ। লকডাউন চললেও ক্রমেই তা শিথিল করা হচ্ছে।

অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আসলেও থেমে নেই ইতালিতে আক্রান্ত ও মৃত্যুর মিছিল। গত ২৪ ঘণ্টায়ও ইউরোপের দেশটিতে প্রায় দুই হাজার মানুষ নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন।

এতে করে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ২ লাখ সাড়ে ৫ হাজার জনে দাঁড়িয়েছে। প্রাণ হারিয়েছেন আরও ২৮৫ জন নাগরিক। এ নিয়ে রোমীয় শহরটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে প্রায় ২৮ হাজারে। যা মৃত্যুর ঘটনায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দেশ।

করোনা ভাইরাসের মৃত্যুর দিক দিয়ে তৃতীয় স্থানে থাকা যুক্তরাজ্যে গেল ২৪ ঘণ্টায় আরও অন্তত ৬ হাজার মানুষ করোনার শিকার হয়েছেন।

মোট সংখ্যা বেড়ে ১ লাখ ৭১ হাজার ২৫২ জনে পৌঁছেছে। প্রাণহানি বেড়ে হয়েছে ২৬ ৭৭১ জনে। এছাড়া, ইউরোপেরই অন্যান্য দেশগুলোর মধ্যে ফ্রান্সে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২৪ হাজার ৩৭৬ জনের। আর আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ৬৭ হাজার ১৭৮ জন।

আক্রান্ত বেড়েছে উত্তর এশিয়া ও পূর্ব ইউরোপের তথা বিশ্বের সর্ববৃহৎ রাষ্ট্র রাশিয়ায়ও। দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৭ হাজারের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

এ নিয়ে সেখানে সংক্রমিতের সংখ্যা লাখ ছাড়িয়েছে। বর্তমানে সেখানে আক্রান্ত ১ লাখ সাড়ে ৬ হাজার মানুষ। মারা গেছে আরও ১২১ জন। এ নিয়ে প্রাণহানি ১ হাজার ৭৩ ঠেকেছে।

দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে নাজুক অবস্থা ভারতে। যেখানে আক্রান্ত ৩৪ হাজার ৮৬৩ জন। মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৭৩৭ জনের।

আর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত করোনার শিকার হয়েছেন ৭ হাজার ৬৬৭ জন। তাদের মধ্যে ১৬৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৬০ জন।

এমন অবস্থায় বিশ্বজুড়ে করোনা ছোবল থেকে বাঁচতে নতুন করে আশার কথা জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-ডব্লিউএইচও। এখন পর্যন্ত কোন প্রতিষেধক আবিষ্কার না হলেও নতুন করে ১০২টি সম্ভাব্য টিকি তৈরির কাজ চলছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

বৃহস্পতিবার তাদের ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত একটি নথি প্রকাশ করে এই তথ্য জানায় ডব্লিউএইচও।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, বিশ্বজুড়ে গবেষণাধীন সম্ভাব্য এই ১০২টি টিকার মধ্যে ৮টি ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমোদন পেয়েছে। তবে চারদিন আগেও এই সংখ্যা ছিল ৭টি। নতুন করে যুক্ত হয়েছে চীনে গবেষণাধীন একটি সম্ভাব্য কোভিড-১৯ টিকা।

প্রথম ৭টি টিকা মানবদেহে প্রয়োগ করা হয়েছে। তবে নতুন নথিভুক্ত হওয়া চীনের এই টিকা এখনও মানবদেহে প্রয়োগ হয়েছে কিনা সে সম্পর্কে অবশ্য কিছু বলা হয়নি।

ক্লিনিক্যাল ট্রয়ালের জন্য অনুমোদন পাওয়া টিকাগুলোর মধ্যে ৪টি চীনের। এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে একটি টিকা তৈরির কাজ চলছে।

এর আগে গত ১৬ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রে প্রথমবারের মতো মানবদেহে করোনা টিকা প্রয়োগ করা হয়। সেই ভ্যাকসিনের এখনও পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে।

শেয়ার করুণ

Comments are closed.