টপ পোষ্ট

সব সিরিজ জিতে বাংলাদেশের রেকর্ড

0

একমাত্র টেস্টে দাঁড়াতেই পারেনি জিম্বাবুয়ে। ওয়ানডে সিরিজেও পারেনি মাথা তুলতে। টি-টোয়েন্টি সিরিজেও রোডেশিয়ানদের একই পরিণতি ভোগ করায় টাইগাররা। প্রথমবারের মতো তিন ফরম্যাটের সিরিজেই জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করার গৌরব অর্জন করে বাংলাদেশ। ইতিহাস গড়ে টাইগাররা।

আজ দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে টাইগারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে মাত্র ১১৯ রানেই মুখ থুবড়ে পড়ার পর লিটন-নাঈমের ব্যাটিংয়ে অসহায় হয়ে পড়ে সফরকারীরা। শেষ পর্যন্ত লিটনের ঝড়ো ফিফটিতে ৯ উইকেটের বড় জয় নিয়ে ইতিহাস গড়ে টাইগাররা।

তামিমের বদলে ওপেনিংয়ে নামা নাঈম ৩৪ বলে পাঁচ চারে ৩৩ করে আউট হলেও ওয়ানডে ও প্রথম টি-টোয়েন্টির মতই ঝড় তুলে ৩৫ বলেই তুলে নেন ক্যারিয়ারের চতুর্থ ফিফটি। আগের ম্যাচে ৫৯ করা লিটন এদিন অপরাজিত থাকেন ৬০ রান করে। তার ৪৫ বলের ইনিংসে কোনও ছক্কা না থাকলেও ছিল আটটি চারের মার।

এর আগে চার-ছয়ের ঝড় তুলে এদিন ওপেনিংয়ে নাঈমের সঙ্গে গড়েন ৭৭ রানের অনবদ্য জুটি। যাতে অসহায় হয়ে পড়ে জিম্বাবুয়ের বোলাররা। পরে দুটি বিশাল ছক্কা হাঁকিয়ে ২৬ বল হাতে রেখেই দলের জয় নিশ্চিত করেন আগের ম্যাচেও তাণ্ডব চালানো সৌম্য সরকার। সদ্য বিবাহিত এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান এদিন অপরাজিত থাকেন ১৬ বলে ২০ রান করে।

এর আগে মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে এদিন টস জিতে জিম্বাবুয়ের হাতে ব্যাট তুলে দেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। পূর্ণাঙ্গ সিরিজে প্রথমবার আগে ব্যাটিংয়ে নেমে এক টেইলর ছাড়া খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি উইলিয়ামস-আরভিনরা। মুস্তাফিজ-আল আমিনদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে নির্ধারিত ওভারে সাত উইকেটে ১১৯ রান তুলতে সক্ষম হয়েছে জিম্বাবুয়ে।

এদিন তিন পরিবর্তন নিয়ে একাদশ সাজায় বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট। বিশ্রামে পাঠানো হয় দেশসেরা ওপেনার ও টাইগারদের নতুন ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবালকে। তার জায়গায় দলে সুযোগ হয়েছে মোহাম্মদ নাঈমের। অন্যদিকে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অভিষেক হয়েছে পেসার হাসান মাহমুদের।

যদিও বাংলাদেশের জার্সিতে প্রথমবার বল করতে নেমে খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি বিপিএলে ভালো করা এই তরুণ। চার ওভারে ২৫ রান দিয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন মাহমুদ। একই পরিমাণ রান দিলেও কাটার মাস্টার মুস্তাফিজুর রহমানের শিকার দুটি।

তবে দলে ফিরে আল আমিন হোসাইন দেখান আরও দুর্দান্ত পারফর্ম। চার ওভারে ২২ রান খরচায় নিয়েছেন দুটি উইকেট। এ ছাড়া মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, মেহেদি হাসান ও আফিফ হোসেন নিয়েছেন একটি করে উইকেট।

এদিকে, টাইগারদের এমন বোলিংয়ের সামনে জিম্বাবুয়ে দলীয় সংগ্রহ একশ ছাড়িয়েছে এক ব্রেন্ডন টেলরের ব্যাটের ওপর দাঁড়িয়ে। সফরজুড়ে ব্যর্থ থাকা টেলর আজ ব্যাট হাতে জ্বলে ওঠেন। সফরে আগের পাঁচ ম্যাচ মিলে ৪৪ রান করা টেলর এদিন অজেয় ছিলেন ৫৯ রানে। ৪৮ বলের ইনিংসে ছয়টি চারের সঙ্গে একটি ছক্কাও মেরেছেন জিম্বাবুইয়ান ওপেনার।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৩ বলে ২৯ রান এসেছে ক্রেইগ আরভিনের ব্যাট থেকে। এছাড়া সিকান্দার রাজা ১২ এবং তিনাসে কামুনহুকামুয়ে আউট হয়েছেন ১০ রানে।

অথচ অতিথিদের শুরুটা কি দুর্দান্তই না ছিল। ১১ ওভার শেষে এক উইকেটে ৬৯ রান করেছিল তারা। এরপরই খেই হারিয়ে ফেলে রোডেশিয়ানরা। সফরকারীদের নাগালে বেঁধে রেখে লক্ষ্যটা হাতের নাগালে রাখেন বোলাররা। পরে বাকি কাজটা বেশ ভালোভাবেই সারেন ব্যাটসম্যানরা।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

জিম্বাবুয়ে: ২০ ওভারে ১১৯/৭ (কামুনহুকামউই ১০, টেইলর ৫৯*, আরভিন ২৯, উইলিয়ামস ৩, রাজা ১২, মুতুমবামি ১, মাটোমবোদজি ৩, মাধেভেরে ০, মুম্বা ১*; মুস্তাফিজ ৪-০-২৫-২, সাইফ ৪-০-৩০-১, আল আমিন ৪-০-২২-২, হাসান ৪-০-২৫-০, মেহেদি ৩-০-১৪-১, আফিফ ১-০-২-১)

বাংলাদেশ: ১৫.৫ ওভারে ১২০/১ (লিটন ৬০*, নাঈম ৩৩, সৌম্য ২০*; মাধেভেরে ৩-০-২০-০, এমপোফু ৩.৫-০-২৭-১, মুম্বা ৩-০-২৬-০, সুমা ১-০-১০-০, উইলিয়ামস ৩-০-১৬-০, রাজা ২-০-১৮-০)

ফল : বাংলাদেশ ৯ উইকেটে জয়ী

সিরিজ : ২ ম্যাচ সিরিজে বাংলাদেশ ২-০ ব্যবধানে জয়ী

ম্যান অব দা ম্যাচ : লিটন দাস

ম্যান অব দা সিরিজ: লিটন দাস

শেয়ার করুণ

Comments are closed.