সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী ভারতে এনআরসি হচ্ছে, এর সাথে বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের জনগণের কোন ধরণের সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। তিনি দাবি করেছেন, বাংলাদেশের জনগণের ওপর ওই প্রক্রিয়ার কোনো প্রভাব থাকবে না।
আজ সোমবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে ‘বাংলাদেশ-ভারত: একটি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক এক সেমিনারে শ্রিংলা এ মন্তব্য করেন।
মুজিববর্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফর চূড়ান্ত করতে ঢাকায় এসেছেন শ্রিংলা। সোমবার সকালে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন তাকে স্বাগত জানান।
সেমিনারে শ্রিংলা বলেন, ‘নিকটতম প্রতিবেশী হিসেবে এবং অনেকগুলো অভিন্ন সাংস্কৃতিক ধারা থাকায় এটাও অস্বীকার করা যায় না যে, আমাদের দুই দেশেরই কিছু ঘটনা কারণে বা অকারণে সীমান্তে উত্তেজনা সৃষ্টি করে।
যার সাম্প্রতিক উদাহরণ হলো আসামে নাগরিকপঞ্জি হালনাগাদকরণ, যে প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণভাবে ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা ও তত্ত্বাবধানে সম্পন্ন হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এখানে আমি স্পষ্ট করেই বলতে চাই, আমাদের প্রধানমন্ত্রী (নরেন্দ্র মোদি) বারবার বাংলাদেশ সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে আশ্বস্ত করেছেন যে, এই প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণভাবে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। সুতরাং বাংলাদেশের জনগণের উপর এর কোনো প্রভাব থাকবে না। আমরা এই ব্যাপারে আপনাদের আশ্বস্ত করছি।’
তিনি বলেন, ‘কূটনৈতিক গুরুত্বে ভারতের কাছে প্রতিবেশী হিসেবে বাংলাদেশ সবার আগে, বাংলাদেশের সঙ্গে ৫৪ নদীর পানি বন্টন ও ব্যবস্থাপনায় সবচেয়ে ভালো সমাধানই খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।’
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার মেনে নেবে এমন যে কোন ধরনের সমঝোতার উদ্যোগে পাশে থাকবে ভারত। তবে ভারত চায় সেই উদ্যোগ যেন নিরাপদ এবং ভলান্টারি হয়।’