টপ পোষ্ট

যুব মহিলা লীগ থেকে পাপিয়া বহিষ্কার

0

নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক র‌্যাবের হাতে আটক শামিমা নূর পাপিয়াকে সংগঠন থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।

রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি নাজমা আকতার ও সাধারণ সম্পাদক অপু উকিল স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বহিষ্কারের তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ‘বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক শামিমা নূর পাপিয়াকে সংগঠনের ২২ (ক) উপধারা অনুযায়ী দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হলো। এ সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকর হবে।’

এরআগে শনিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হতে দেশ ত্যাগের সময় অবৈধ অর্থসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে পাপিয়া এবং তার স্বামী সুমনও রয়েছেন। গ্রেফতারকৃত অন্যরা হলো, পাপিয়ার পিএস সাবিক্ষর খন্দকার (২৯) ও সুমনের পিএস শেখ তায়্যিবা (২২)।

গ্রেফতারের পর শনিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল শাফী উল্লাহ বুলবুল এসব তথ্য জানান।

র‌্যাব জানায়, পাপিয়া আন্ডার ওয়ার্ল্ডের মাফিয়া চক্রের সদস্য। পাপিয়া ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে অস্ত্র ব্যবসাসহ বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসার অভিযোগ রয়েছে। রাজনৈতিক ব্যক্তিদের ব্যবহার করে তিনি বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে যেত। একজন মুসলিম নারী হয়েও নিয়মিত কালীপূজা করত পাপিয়া।

লে. কর্নেল শাফি উল্লাহ বুলবুল বলেন, তারা দীর্ঘদিন যাবত জাল টাকা প্রস্তুতসহ নরসিংদী ও রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন স্থানে অবৈধ অস্ত্র, মাদক ও নারীসংক্রান্ত অনৈতিক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিল। এছাড়াও নরসিংদী জেলার বিভিন্ন এলাকায় স্থানীয় সন্ত্রাসী বাহিনীর মাধ্যমে চাঁদাবাজি করে আসছিল পাপিয়া ও সুমন।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাপিয়া জানায়, সে একজন ব্যবসায়ী। তেজগাঁও বিএফডিসি গেটসংলগ্ন এলাকায় অংশীদারিত্বে তার একটি ‘কার একচেঞ্জ’ নামক গাড়ির শো রুম আছে। এছাড়া নরসিংদী জেলায় তার ‘কেএমসি কার ওয়াস অ্যান্ড অটো সলিউশন’ নামে একটি গাড়ি সার্ভিসিং সেন্টার আছে। এসব ব্যবসার আড়ালে সে অবৈধ অস্ত্র, মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত।

র‌্যাব জানায়, গুলশানে অভিজাত একটি হোটেলের ২১ তলায় তার দুটি রুম ভাড়া নেওয়া আছে। সমাজ সেবার নামে সে নরসিংদীর অসহায় নারীদের আর্থিক দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে সহযোগিতার নামে তাদের অনৈতিক কাজে লিপ্ত করে বলে জানায়। বছরের অধিকাংশ সময় সে নরসিংদী ও রাজধানীর বিভিন্ন বিলাসবহুল হোটেলে অবস্থান করে। সেখান থেকে সে ও তার স্বামী ব্যাবসায়িক অংশীদারদের নারী সরবরাহ করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এবং তার কাছ থেকে পাওয়া রশিদ অনুযায়ী, গত তিন মাসে অভিজাত একটি হোটেলে বার খরচ ও রুম ভাড়া হিসেবে ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা খরচ করেছেন তিনি।

শেয়ার করুণ

Comments are closed.