টপ পোষ্ট

মানুষের বিশ্বাস স্থাপনে পুলিশের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর তাগিদ

0

দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখা জরুরি বলে মনে করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সক্রিয় ভূমিকা পালনের নির্দেশ দেন তিনি। পুলিশের প্রতি মানুষের আস্থা বিশ্বাসে পরিণত করারও তাগিদ দেন সরকারপ্রধান।

পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে সোমবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

পুলিশ সপ্তাহে উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সারাদেশের ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের এই উপস্থিতি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যোগ দেন এই আয়োজনে। পুলিশের কার্যক্রম পর্যালোচনা, মূল্যায়ন ও আগামীর কর্ম পরিকল্পনাসহ নানা দাবি ও সুপারিশ তুলে ধরেন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা।

রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে পুলিশের ভূমিকার প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষের নিরাপত্তা দেওয়া এবং এবার আপনারা মুজিববর্ষে যে থিমটা নিয়ে এসেছেন, বিশেষ করে আপনাদের যে প্রতিপাদ্য বিষয়-এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনারা বলেছেন, মুজিববর্ষের অঙ্গীকার,

পুলিশ হবে জনতার। আসলে পুলিশকে জনতারই হতে হবে। জনগণ যেন আস্থা পায়, বিশ্বাস করে যেমন-৯৯৯ করার ফলে পুলিশের প্রতি মানুষের একটা আত্মবিশ্বাস হয়েছে। আগে পুলিশের প্রতি মানুষের যে একটা অনীহা ছিল, তা এখন আর নেই।

তিনি বলেন, এখন পুলিশর প্রতি মানুষের আস্থা-বিশ্বাস বৃদ্ধি পয়েছে। কাজেই আপনারা সেভাবেই কাজ করবেন। আর আমাদের এটাই লক্ষ যে, আমাদের অর্থনীতি যত শক্তিশালী হবে, তত বেশি আমরা আমাদের সব প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও উন্নতি করতে পারব।

চাহিদার ভিত্তিতে পুলিশে পদায়ন ও কাঠামো সংস্কার করার আশ্বাস দেন শেখ হাসিনা। পুলিশের উত্থাপিত প্রস্তাব, দাবি ও সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন সরকারপ্রধান।

বিভিন্ন মেয়াদে রাষ্ট্র ক্ষমতায় থেকেও বিএনপি কিংবা জাতীয় পার্টি দেশের কল্যাণে কাজ করতে পারেনি বলে উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে স্বপ্ন নিয়ে জাতির পিতা দেশ স্বাধীন করেছেন, তার সেই স্বপ্ন পূরণ করা অর্থাৎ, বাংলাদেশকে একটা মর্যাদাপূর্ণ রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলা, স্বাধীনতার সুফল যেন বাংলার মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছায়- সেই লক্ষ নিয়েই আমার কাজ।

শেখ হাসিনা বলেন, ২১ বছর পর আমরা সরকারে আসি। সরকারে আসার পর আমি দেখেছি, এ দেশের দুরবস্থা। আমি ৮১ সালে দেশে আসার পর সমগ্র বাংলাদেশ আমি ঘুর বেড়াই। একেবারে প্রত্যন্ত অঞ্চলে আমি গিয়েছি। মাইলের পর মাইল পায়ে হেঁটেছি বা নৌকায় চড়েছি, ভ্যানে চড়েছি। বাংলাদেশের কোনও উন্নয়ন ছিল না। তাই চিহ্নিত করেছিলাম সমস্যাগুলো।

কী করলে এসব এলাকার মানুষের আর্থসামাজিক উন্নতি হতে পারে এটা শুধু আমার নিজের দেখা না, এর আগে আমরা পারিবারিকভাবে যখন বসতাম আব্বা তখন এই বাংলাদেশ নিয়েই গল্প করতেন। তার স্বপ্ন ছিল এবং তিনি বলতেন বাংলাদেশটাকে তিনি কিভাবে সাজাবেন; প্রতিটি গ্রামকে তিনি কিভাবে উন্নতি করবেন সে চিন্তাটা তার সব সময় ছিল।

তিনি বলেন, ১৯৭০ সালে আমি মায়ের সঙ্গে পার্বত্য চট্টগ্রামে গিয়েছিলাম। তখন সেখানকার মানুষের জীবনযাত্রা সম্পর্কে একটা ধারণা আছে। কিন্তু ৮১ সালে যখন সেখানে যাই, তখন দেখি সেখানে একটা আত্মঘাতী সংঘাত। এই যে একটা আত্মঘাতী সংঘাত, সেটাও কিন্তু আমরা একটা শান্তিচুক্তি করে সমাধান করে দিয়েছি। এরপর ওই জায়গার উন্নতি আমরা শুরু করেছি।

বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, আমি পুরো বাংলাদেশ যখন ঘুরি, তখন সারাদেশের থানাগুলোর এমন জরাজীর্ণ অবস্থা ছিল, কোনো থানায় ১৫/২০ জনের বেশি পুলিশ ছিল না। আমার এলাকা এমন একটা দুর্গম এলাকা ছিল যে ঢাকা থেকে ২৪ ঘণ্টা লেগে যেত টুঙ্গীপাড়া যেতে আর সেখানে প্রায় ডাকাতি হত। ফলে এসব বিষয়ে আমি মনোযোগ দিই এবং নানা পদক্ষেপ নিই।

শেয়ার করুণ

Comments are closed.