মুক্তিযুদ্ধের সময় আটক, অপহরণ, নির্যাতন ও হত্যার অভিযোগে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ঝিনাইদহ সদরের তিনজনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।
এটি তদন্ত সংস্থার ৭৫তম চূড়ান্ত প্রতিবেদন। যাদের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন, তারা হলেন-মো. আব্দুর রশিদ মিয়া (৬৬) ও মো. সাহেব আলী মালিথা (৬৮)। পলাতক আরেকজনের নাম প্রকাশ করা হয়নি।
রোববার (২৪ নভেম্বর) ধানমন্ডিতে তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে তদন্ত সংস্থার প্রধান সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান খান ও জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এম সানাউল হক এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন।
আসামিদের মধ্যে দু’জন গ্রেফতার হয়ে কারাগারে রয়েছেন। শিগগিরই এ তদন্ত প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনে জমা দেয়া হবে বলে জানিয়েছে তদন্ত সংস্থা।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, এ তিনজনের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের ২৭ জুন তদন্ত শুরু হয়। তাদের বিরুদ্ধে অপহরণ, আটক, নির্যাতন ও হত্যার দুটি অভিযোগ আনা হয়েছে।
অভিযোগ-১: ১৯৭১ সালের ১৭ জুন রাজাকার রশিদ মিয়ার নেতৃত্বে সহযোগী রাজাকার সাহেব আলী মালিথাসহ পলাতক আসামীসহ ১০/১৫ জন রাজাকার কোলা গ্রামে শহীদ আজিবর মন্ডলদের বাড়ী আক্রমণ করে মুক্তিযোদ্ধা মহির উদ্দিন মন্ডল ও আসির উদ্দিন মন্ডলদের আটক করতে এসে না পেয়ে তাদের তিনভাই আজিবর,
হবিবর রহমান মন্ডল ওরফে হাবা মন্ডল ও আনছার মন্ডলদের আটক ও মারধর, পিঠমোড়া করে বেধে অপহরণ করে ঝিনাইদহ শহরের দিকে নিয়ে যায়।
পরে তাদের মাগুরা রোডের ধোপাঘাটা ব্রীজের ওপর গুলি করে হত্যার পর লাশ নবগঙ্গা নদীতে ফেলে দেয়।
অভিযোগ-২: একাত্তর সালের ২৪ জুন আসামীরা মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগী নিরীহ, নিরস্ত্র মুলুক চাঁনকে কোলা গ্রামের বসত বাড়ী হতে আটক করা হয়। অপহরণের পর তার আর সন্ধান পাওয়া যায়নি।