টপ পোষ্ট

ইমার্জিং কাপের শিরোপা জিততে বাংলাদেশের সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ

0

ছবি: এসিসি

টসে জিতে আগে বোলিং। প্রতিপক্ষকে নাগালের মধ্যে আটকে রেখে রান তাড়ায় অনায়াস জয়। টুর্নামেন্টের আগের সব ম্যাচে এই একই ফর্মূলায় জিতেছে বাংলাদেশ। ফাইনালেও হলো টস জিতে আগে বোলিং। তবে এবার রান তাড়ায় ব্যাটসম্যানদের অপেক্ষায় কঠিন পরীক্ষা। ইমার্জিং টিমস এশিয়া কাপের ফাইনালে রোহাইল নাজিরের সেঞ্চুরিতে পাকিস্তান গড়েছে চ্যালেঞ্জিং স্কোর।

মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে শনিবার ফাইনালে ৫০ ওভারে পাকিস্তান ইমার্জিং দল তুলেছে ৬ উইকেটে ৩০১ রান।

দুই বার জীবন পেয়ে ১৮ বছর বয়সী কিপার ব্যাটসম্যান রোহাইল নাজির খেলেছেন ১১১ বলে ১১৩ রানের ইনিংস।

আগের ম্যাচগুলোয় দারুণ বোলিং করা তিন মিডিয়াম পেসার হাসান মাহমুদ, সুমন খান ও সৌম্য সরকার খুব বেশি সুবিধে করতে পারেননি ফাইনালে। বাংলাদেশের ফিল্ডিংও ছিল বেশ বিবর্ণ। ইয়াসির আলি চৌধুরি রাব্বি একাই হাতছাড়া করেছেন ৩টি ক্যাচ।

নতুন বলে হাসান ও সুমনের শুরুটা খারাপ ছিল না। যথারীতি ছোট সুইং আর বাড়তি বাউন্সে দুজন অস্বস্তিতে ফেলেছেন পাকিস্তানের টপ অর্ডারকে।

সুমন ফিরিয়ে দেন দুই ওপেনারকেই। বাড়তি লাফানো আউট সুইঙ্গারে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন ওমাইর ইউসুফ। শুরুর অস্বস্তি ঝেড়ে বিপজ্জনক হয়ে উঠছিলেন হায়দার আলি। ২৩ বলে ২৬ রান করা ব্যাটসম্যানকে সুমন ফেরান স্লোয়ার বাউন্সারে।

৪১ রানে ২ উইকেট হারানো দলকে দারুণ ব্যাটিংয়ে এগিয়ে নেন রোহাইল ও ইমরান রফিক। শুরুতে উইকেট আগলে রেখে এক-দুই করে রান বাড়িয়েছেন দুজন। থিতু হওয়ার পর বাড়িয়েছেন রানের গতি। তৃতীয় উইকেটে গড়েছেন ১১৭ রানের জুটি।

৬২ রানে ইমরানের বিদায়ে ভেঙেছে এই জুটি। মেহেদি হাসানের অফ স্পিনে অনেকটা ছুটে এসে এক্সট্রা কাভারে ক্যাচ নিয়েছেন সৌম্য সরকার।

অথচ এই জুটি জমে ওঠার আগেই ভাঙতে পারত বাংলাদেশ। বাঁহাতি স্পিনার তানভির ইসলামের প্রথম বলেই স্লিপে ক্যাচ দিয়েছিলেন রোহাইল। ধরতে পারেননি ইয়াসির।

২৩ রানে জীবন পাওয়া রোহাইল আরেকদফায় বেঁচে যান ৭৮ রানে। এবার তানভির নিজের বলে বাঁদিকে ঝাঁপিয়ে ক্যাচ নিতে পারেননি নিজেই।

সুযোগ দারুণভাবে কাজে লাগিয়ে রোহাইল করেছেন সেঞ্চুরি। তার ১২ চার ও ৩ ছক্কার ইনিংস শেষ হয়েছে হাসানের স্লোয়ারে এলবিডব্লিউ হয়ে।

আউট হওয়ার আগে সৌদ শাকিলের সঙ্গে ৮৫ রানের জুটি গড়েছেন রোহাইল। শাকিল করেছেন ৪০ বলে ৪২।

শেষ দিকে ইয়াসির হাতছাড়া করেছেন দুটি সহজ ক্যাচ। বিশাল দুটি ছক্কায় খুশদিল শাহ করেছেন ১৬ বলে ২৭, আমাদ বাট ৭ বলে ১৫।

শেষ দিকে বাংলাদেশের বোলিং ছিল বেশ বাজে। সুমন একের পর এক লেংথ বল করে গেছেন এবং মার খেয়েছেন। টুর্নামেন্টের সফলতম বোলার এই পেসার ৩ উইকেট নিলেও রান গুনেছেন ৭৫। হাসান চেষ্টা করেছেন একটু বৈচিত্রের, সফল খুব একটা হননি।

শেষ ১০ ওভারে পাকিস্তান তুলেছে ৯৭ রান। ম্যাচ জিততে দারুণ কিছু করতে হবে সৌম্য সরকার, মোহাম্মদ নাঈম শেখদের।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

পাকিস্তান ইমার্জিং : ৫০ ওভারে ৩০১/৬ ( ওমাইর ৪, হায়দার ২৬, রোহাইল ১১৩, ইমরান ৬২, শাকিল ৪২, খুশদিল ২৭, আমাদ ১১*, বদর ০*; হাসান ১০-১-৫২-২, সুমন ১০-০-৭৫-৩, মেহেদি ১০-১-৩৯-১, সৌম্য ১০-০-৭৬-০, তানভির ৮-০-৪৩-০, আফিফ ২-০-১৫-০)।

শেয়ার করুণ

আপনার মন্তব্য দিন